Tulsidas, a renowned poet-saint, authored the Shree Hanuman Chalisa in the 16th century.
Hanuman Chalisa Chaupai 7 in Bengali with Meaning & Analysis
বিদ্যাবান গুণী অতি চাতুর।
রাম কাজ করিবে কো আতুর।।
সারানুবাদ : বিদ্যাবান, গুণী, অতি চতুর, ভগবান শ্রীরামের কাজ করবার জন্য সদা তৎপর।
ব্যাখ্যা : বিদ্বান-বিদ্যাবান : গোস্থামী তুলসীদাসজী শ্রীহনুমানজীকে ‘বিদ্বান’ না বলে ‘বিদ্যাবান’ বললেন কেন ? বাল্মীকি রামায়ণে উল্লেখ আছে যে, ঋষি অগস্ত্য প্রভু শ্রীরামকে বলছেন যে, কিভাবে শ্রীহনুমানজীর শিক্ষালাভ হল। বাল্যকালে শ্রীহনুমানজীর সেই বিখ্যাত ঘটনা ঘটানোর কथ
আমরা সবাই জানি যেখানে সূর্যকে ফল মনে করে তিনি খাবার জন্য সূর্যের কাছে পৌঁছলে, রাহুর আগ্রহে দেবরাজ ইন্দ্র ডাঁর উপর বজ্রাঘাত করেন। শ্রীহনুমানজী মূর্ষ্ছিত হয়ে পড়লে তাঁর পিতা পবনদেব অত্যন্ত রুষ্ট হয়ে সমগ্র জগৎ থেকে বায়ুকে প্রত্যাহার করলে সমস্ত সৃষ্টিতে উথাল-পাতাল কুরু হয়ে যায়।
পবনদেবকে শান্ত করার জন্য সমস্ত দেবতারা এসে শ্রীহনুমানজীকে বিভিন্ন প্রকারের বর দেন। সেই সময় সূর্যদেব তাঁর বর দিতে গিয়ে বলেন (বাল্মীকি রামায়ণ, উত্তর কাণ্ড, সর্গ-৩৬, শ্লোক-১৪), বালক যখন শাস্ত্র অধ্যয়ন করার মতো বয়সে পৌঁছছবে, তখন আমি একে সমস্ত শাস্ত্রের জ্ঞন দেব যার ফলে এ অত্যন্ত সুবক্তা হবে এবং শাস্ত্রজ্ঞানে এর সমান কেউ হবে না।
তার যখন অধ্যয়ন করার বয়স হল তখন এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটলো। সূর্যদেব যেহেতু চব্বিশ ঘণ্টাই কর্মব্যস্ত, তাই শ্রীহনুমানজীকে বললেন যে, তিনি তাঁকে শাস্ত্র-অধ্যয়ন তখনই করাতে পারবেন যখন শ্রীহনুমানজী উদয়াচল থেকে অস্তাচল পর্যন্ত সূর্যের সামনে থেকে তাঁর মুখ করে সূর্যের সঙ্গে সঙ্গে সমান তালে চলবেন। শ্রীহনুমানজী তাই করলেন।
শ্রীহনুমানজী সমস্ত সূত্র, বৃত্তি, বার্তিক, মহাভাষ্য এবং সংগ্রহ – এই সমস্তই থুব ভালভাবে অধ্যয়ন করলেন। অন্যান্য শাস্ত্র এবং ছন্দ শাস্ত্র ইত্যাদিতে ঢাঁর সমান কেউ নেই। বাল্মীকি রামায়ণে (উত্তর কাণ্ডের সর্গ ও শ্লোক 8৭-এ) উল্লেখ আছে যে, সম্পূর্ণ বিদ্যা এবং তপের অনুষ্ঠানে শ্রীহনুমানজী দেবতাদের গুরু বৃহস্পতির স্পর্ধা রাখেন। নব ব্যাকরণের সমস্ত সিদ্ধাত্তের জ্ঞাতা শ্রীহনুমানজী প্রভু শ্রীরামের কৃপায় ব্রহ্মার সমান সম্মান পान।
এবার দেখা যাক গোস্বামীজী ‘বিদ্যাবান’ শব্দ কেন ব্যবহার করলেন প্রচলিত শব্দ বিদ্বানের জায়গায়? প্রাথমিক দৃষ্টিতে দুটি শব্দের খুব বেশি অর্থকরি ফারাক নজরে পড়ে না। কিন্তু গোস্বামীজী যে বিনা কারণে ‘বিদ্যাবান’ শব্দ ব্যবহার করেননি তা বোঝা দরকার। এ বিষয়ে শ্রীরীরামচরিতমানস-এর সুন্দরকাঞ্ড এক প্রকৃষ্ট উদাহরণ। শ্রীহনুমানজীর বিদ্যালাভের প্রথম পরীক্ষা হয়
লস্কেশ রাবগের সভাগৃহে। প্রথমে দেখা যাক রাবণের অবস্থা। লস্কেশ রাবণের সমসাময়িক কালে তাঁর সমকক্ষ জ্ঞানী থুম কমই ছিল। বেদকে সুর দেওয়া, রাবগের সংস্কৃত ভাষা, ব্যাকরণ এবং অন্যান্য শাস্ত্রে পারদর্শিতা ছিল অসাধারণ। মননশীল সাধু ও শাস্ত্রকারদের এই মত যে, রাবগের দশ মাথা তাঁর বিভিন্ন বিদ্যার পারঙ্গমতার প্রতীকস্বরূপ। চার বেদ ও ছয় শাস্তের ঢাঁর গতি ছিল অবাধ।
এই কারণে একজন সাধারণ মানুষের বৈদিক ক্ষমতার দশগুণ তাঁর পারদর্শিতা। অথচ তাঁর এই বিদ্যাবত্তা ঢাঁকে দুর্ষর্ম থেকে বিরত করতে পারেনি। এর কারণ শাস্ত্রকারেরা বলেন যে, যার বিদ্যাবত্তা এবং বৈদিক প্রতিভা অতি মাত্রায় বেড়ে যায় সে অপরের শাত্তিভঙ্গের কারণ হয়। জনকনল্দিনী সীতার অনেক স্বরূপের মধ্য এক স্বরূপ হলো শান্তি। রাবণ তাই যখন সীতাকে হরণ করলেন, তাঁর বিদ্যাবত্তা, বৈদিক প্রতিভা তাঁকে নিরস্ত করতে ব্যর্থ হলো। বিদ্যার অভিমান মানুষের অধোগতির কারণ হয়।
অন্যদিকে শ্রীহনুমানজীকে দেখুন, তাঁর বিদ্যা আর বুদ্ধি প্রয়োগ করে মাতা সীতাকে লঙ্কাতে ঠিক অনুসন্ধান করে প্রভু শ্রীরামের সঙ্গে মিলনের নিমিত্ত হলেন। তাই অন্যের শাত্তি হরণ যিনি করেন, তিনি বিদ্বান হতে পারেন আর হারিয়ে যাওয়া শান্তিকে যিনি পুনঃপ্রাপু করেন তিনি অবশ্যই বিদ্যাবান। তাই শ্রীহনুমানজী কেবল বিদ্বান नন, বিদ্যাবানও।
এবার রাবণের সভায় বিদ্বান রাবণ ও বিদ্যাবান শ্রীহনুমানজীর মুতোমুখি দেখা হওয়ায় এই দুইয়ের পরীক্ষা আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে। শ্রীহনুমানজী সভায় বলছেন (শ্রীশ্রীরামচরিতমানস, সুন্দরকাণ্ড, দোহা ২২), “হে রাবণ, আমি করজোড়ে তোমায় বিনতি করছি, তুমি অভিমান ছেড়ে আমার কথা শোনো।” প্রশ্ন হল শ্রীহনুমানজী কি এতই দুর্বল যে রাবণের সামনে হাতজোড় করছেন ? সাধারণতঃ হাতজোড় করা হয় – ভয়ে কিংবা ভাবে।
শ্রীহনুমানজী হাতজোড় করলে রাবণ অভিমানে হেসে বলছেন, “তুমি আমার সামনে হাতজোড় করছো এ আর এমন কি আচ্চর্য কথা, আমার সামনে তো বড় বড় দিকপাল আর দেবতারা হাতজোড় করেই থাকে।” (রাঃ চঃ মাঃ সুঃ কাঃ)। গোস্বামীজী বলছেন যে বড় বড় দেবতা আর দিকপালরা রাবণের সামনে ভয়ে হাতজোড় করলেও শ্রীহনুমানজী ভয়ে নয়, ভাবে হাতজোড় করছেন, কারণ ‘বিদ্যাবান’-এর এক গুণ হলো ‘শীলতা’। শ্রীহনুমানজী যে ভীত হননি
তার প্রমাণ পাওয়া গেল রাবণের কথাতেই একটু পরে। রাবণ বলছেন, “তুমি কি আমার নাম আগে শোনোনি, আমি তোমায় অত্যন্ত নিঃশঙ (ভয়হীন) দেখছি। (রাঃ চঃ মাঃ সুঃ কমঃ দোহা-২৯)। শ্রীহনুমানজী রাবনের ভ্রকুটিকে তোয়াক্কাই করেননি কারণ ঢাঁর জানা আছে প্রভু রামের জ্কুটি কী করার ক্ষমতা রাখে। তিনি বললেন, শ্রীরামের এক ভ্রুকুটির প্রকোপে সমস্ত সৃষ্টি মুহূর্তেই লয় হতে পারে।
রাবণ প্রশ্ন করলেন রামের জ্রুকুটি যদি তোমার এতই জানা আর আমার জ্রুকুটিকে এতই অবহেলা তা হলে আমরা সামনে হাতজোড় করলে কেন ? শ্রীহনুমানজী স্পষ্ট করছেন, “এটা তোমার ভুল। আমি তোমার বাহানায় প্রভু শ্রীরামকেই তো হাতজোড় করলাম।” রাবণ বললেন, “এখানে শ্রীরাম কোথায় ?” শ্রীহনুমানজী বললেন, “আরে, আমি তো এইটই তোমাকে বোঝাতে ইচ্ছে করে তোমার সভায় এসেছি।
প্রভু শ্রীরাম তো সর্বব্যাপক, তাই তিনি এখানেও আছেন। আমি তো তোমার মধ্যে প্রভু শ্রীরামকেই দেখতে পাচ্ছি।” ঠিক এই কারণেই শ্রীহনুমানজী রাবণকে সম্বোধন করার সময় প্রভু, স্বামী ইত্যাদি উপযোগ করেছেন। অথচ রাবণ যতবার শ্রীহনুমানজীকে সম্বোধন করেছেন ততবার বলেছেন শঠ, খল, অধম ইত্যাদি।
রাবণ যতই শ্রীহনুমানজীকে অপশব্দ দ্বারা সম্বোধিত করুন না কেন, শ্রীহনুমানজী সর্বদাই শালীনতা বজায় রেখে তাকে সম্মানসূচক শব্দের দ্বারাই সম্বোধন করেছেন। সম্মানীয় ব্যক্তিকে অপমানিত করা কোনো বিদ্বান করলেও করতে পারেন, কিন্তু যিনি অপরের অপমানসূচক সম্বোধনের মধ্যেও প্রভুর দর্শনের আনন্দ পান তিনিই হলেন বিদ্যাবান, শ্রীহনুমানজী তাই বিদ্যাবান।
আবার দেখুন রাবণ কিস্তু ভগবান শিবের এক পরম ভক্ত ছিলেন। নিজের ইট্টের প্রতি হৃদয়ের ভাব এবং শ্রদ্ধা জানিয়ে রাবণ অনেক গ্রন্থও রচনা করে গেছেন। কিস্তু সেই ভগবান শিব যখন হনুমান স্বরূপে সামনে এলেন তখন তাকে চিনতেও পারলেন না। নিজের ইট্টদেব অন্য স্বরূপে এলে তাকে চিনতে না পারা এক বিদ্বানের খামতি হতে পারে, কিষ্তু সর্ব অবস্থায় এমন কি শত্রুর মধ্যেও যিনি হরিদর্শন করেন তিনিই বিদ্যাবানের বিবেক শক্তির অধিকারী হন। অ্চান পেয়ে যে অহংকারী হয় সে বিদ্বান হতে পারে কিন্তু জ্ঞান পেয়ে যিনি সদাই বিনয়ী থাকেন তিনিই বিদ্যাবান, কারণ “বিদ্যা দদাতি বিনয়ম্” – বিদ্যা বিনয় দেয়।
এই বিদ্যার বিষয়ে প্রভু শ্রীরাম ‘শ্রীশ্রীরামচরিতমানস (কিষ্কিন্ধাকাগ, দোহা-১৪)-এ বলেছেন, মেঘ যেমন বর্ষণের আগে পৃথিবীর খুব কাছে লেমে আসে, তেমনি বিদ্যালাভ করে বিদ্যাবান সদা নম্র থাকতে জানেন। বিদ্যাবান সর্বদা নিরহঙ্কার থাকতে জানেন এবং নম্র থেকে পরোপকার আর অপরের কল্যাণের চিন্তা করেন।
বিদ্যাবান সদা বুদ্ধিকে সদ্উপযোগ করায় তাঁর বিবেক তাঁকে সর্ব অবস্থায় সহায়তা করে এবং তিনি অপরের হৃদয়ের কলুষতাকে দূর করার জন্য অত্যন্ত তৎপর থাকেন। শ্রীহনুমানজী তাই রাবণকে বোঝানোর জন্য বলেন (রাঃ চঃ মাঃ সুন্দরকাণ্ড, দোহা-২৩) প্রভু শ্রীরামের চরণকমল হৃদয়ে ধারণ করুন আর লঙ্কায় অবিচ্ছিন্ন রাজত্ব করুন। রাবণ তর্ক করতে পারতেন যে, তুমি কি আমার এই ধন, বৈভব, সমস্ত জাগতিক সুখের ভাগ্ডার দেখতে পাচ্ছো না ?
আমি তো অত্যন্ত সুখী, আমি বুঝতে পারছি না আমার হৃদয় ছাড়া তোমার কি কিছুই নজরে পড়ছে না ? এখানে একটা উদাহরণ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক হবে। মানুষ যখন ক্যামেরায় ফটো তোলে তখন নিজেকে যতটা সম্ভব সাজিয়ে তোলে যাতে তার বাইরের চেহারা, সাজসজ্জা সবার নজর কাড়ে। কিষ্ত যখন এক্স-রেতে ফটো তোলা হয়, তখন তার ভিতরের প্রকৃত অবস্থা বেরিয়ে আসে।
বাইরের চাকচিক্যের কোনো ছাপ সেখানে থাকে না। শ্রীহনুমানজী এক বিরল সদ্গুরু, যাঁর রাবণের প্রতি দৃষ্টি পড়তেই, রাবণের ভিতরের অবস্থার জ্ঞান হয়ে যায়। তাই রিক্ত হৃদয়ে প্রভু শ্রীরামের চরণকমল ধারণ করার কথা বলে তাকে সঠিক উপদেশই দিয়েছিলেন। বিদ্বান রাবণ আর বিদ্যাবান শ্রীহনুমানজীর ফারাকটা তাই খুবই পরিষ্কার।
ওণীী-ওুণবান : শ্রীশ্রীরামচরিতমানসে সুন্দরকাণ্ডের মঙ্গলাচরণে গোস্বামীজী শ্রীহনুমানজীকে ‘সকলগুণ নিধানং’ বলছেন অর্থাৎ শ্রীহনুমানজীকে সর্বগুণের ভাগার বলছেন। এই সুন্দরকাণ্ডেই আগে যেখানে জনকনন্দিনী সীতার খোঁজ করে তাঁকে প্রভু শ্রীরামের আসার সমাচার দিলেন এবং তাঁকে নিঃসংশয় করলেন, তখন দেবী সীতা শ্রীহনুমানজীকে আশীর্বাদ করে বললেন (রাঃ চঃ মাঃ সুন্দরকাঞ্ড, দোহা-২৭), “‘হে তাত, তুমি ‘বল’ আর ‘শীল’-এর নিধান হবে। হে পুত্র, তুমি বৃদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত হবে, তুমি ‘অমর’ হবে এবং ‘গুনের’ ভাগুার হবে। শ্রীরঘুনাথ তোমায় অত্যন্ত কৃপা করুন।’
শ্রীহনুমান চালীসার প্রধান ও বিশেষ কাজই হলো শ্রীহনুমানজীর অনস্ত গুণ, শৌর্য, বল ও তাঁর দীপ্তির স্মরণ ও সস্কটমোচনকারী হিসাবে তাঁর কীর্তির যশগান করা ও তাঁর কৃপা প্রার্থনা করা। সমগ্র শ্রীহনুমান চালীসা তাঁর গুণকীর্তনের বর্ণনায় পরিপূর্ণ। তাঁর অসংখ্য গুণের মধ্যে কয়েকটি সংক্ষেপে বর্ণনা করছি।
প্রভু শ্রীরাম ও শ্রীলস্ম্ যখন জনকন্নन्দিনী সীতাদেবীর খোঁজে ঋস্বমুক পর্বতের পাদদেশে পৌঁঁলেন, যে পর্বতের এক সুউচ্চ গুহায় তখন কিষ্কিন্ধারাজ বালীর ভাই সুগ্রীব অত্যন্ত ভয়গ্রস্ত হয়ে অবস্থান করছিলেন, তখন সুগ্রীবের অনুগ্রহে শ্রীহনুমানজী, যিনি ওই পর্বতেই সুগ্রীবের সাথে অবস্থান করছিলেন, তিনি এক ব্রাহ্মণের বেশ ধরে শ্রীরাম ও লক্ষ্নেে কাছে উপস্থিত হলেন।
শ্রীহনুমানজী ওই দুই সম্ন্যাসবেশী রাজপুত্রকে যেভাবে ঢাঁর পরিচয় দিলেন এবং তাঁদের সঙ্গে তাঁর যে বাক্যালাপ হলো, বাল্মীকি রামায়ণে তার সুন্দর বর্ণনা আছে। এই বার্তালাপ শ্রীহনুমানজীর চরিত্রের শু কিছু গুণেরই পরিচায়ক নয়, প্রথম সাক্ষাতে তিনি যেভাবে দুই ভাইকে অভিভূত করলেন তাও এককথায় অননুকরণীয়। শ্রীহনুমানজী ঢাঁর নিজের পরিচয় (ব্রাস্মণরূপে) দিলেন সুগ্রীবের দূত হিসাবে।
তিনি যে বাক্য ব্যবহার করলেন, যে শব্দ সুচিন্তিতরূপে প্রয়োগ করলেন, তা তনে প্রভু শ্রীরাম লস্ষ্মণকে বলছেন, “যার ঋগ্ধেদের শিক্ষা হয়নি, যে যজুর্বেদের অভ্যাস করেনি, যার সামবেদের জ্ঞান নেই, সে কখনও এত সুন্দরভাবে বার্তালাপ করতে পারে না। নিশ্চয়ই সে সমস্ত ব্যাকরণ অনেকবার স্বাধ্যায় করেছে, কারণ অনেক কথা বললেও তার মুখ থেকে কিত্তু কোনো অশুদ্ধ বা অপশব্দ বের হয়নি।
কথাবার্তার সময় এর মুখ, চোখ কপাল ও অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কোনো দোষই প্রকট হয়নি। এর বক্তব্য না অতি লম্বা, না অস্পষ্ট, না এ থেমে থেমে, না থুব তাড়াতাড়ি বলেছে। এর হৃদয়ের ভাষা কণ্ঠে মধ্যম সুরের দ্বারা প্রকাশ পেয়েছে।” প্রভুর মুখ থেকে শোনা এই কথা তাঁর বার্তালাপের কুশলতারই পরিচায়ক। যার ওই স্বল্প সংখ্যক বার্তালাপেই প্রভু এত মুপ্ধ, কল্পনা করতে অসুবিধা হয় না তার বিদ্যা ও গুণের ভাঞ্ডার কত পরিপূর্ণ হবে।
অতি চাতুর : শ্রীগোস্বামীজী বলছেন শ্রীহনুমানজী বিদ্যাবান এবং ওুণবান। এর সাথে অত্যন্ত চতুরও ছিলেন। চালাকি ও চাতুরতার মধ্যে ফারাক আছে। যে সমস্ত ব্রাহ্মারা পূজা, পাঠ, যজ্ঞ ইত্যাদিতে তাঁদের জীবন গুজরান করেন তাঁদের মধ্যে খুব কমজনই ধনী হয়। বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে এই সমস্ত ব্রাহ্মণদের
দরিত্র ও অতি দরিদ্রই বলা হয়েছে। এদের মষ্যে অনেকে বিদ্বান এবং কেউ কেউ গুণশীল ও বিজ্ঞ কিল্তু এরা চতুর নয়। কিষ্টু যারা বৈশ্য, ব্যবসাই যাদের প্রধান কাজ তাদের অধিকাংশই ধনীর পর্যায়ে পড়ে। কারণ এরা বিদ্বান বা ুণবান না ইউক চালাকি এদের অবশ্যই রক্তে আছে। ব্যতিক্রম নেই? সে তো ব্রাগ্দণ ও বৈশ্য দুজনের মধ্যেই থুঁজে পাওয়া যাবে। সত্ত সমাভে একটি দোঁহা খুবই প্রচলিত আছে – “বিদ্যা পড়ি সঞ্জীবনী, মতি কে निকলে ইীন। ইস কার্রণ মারে গ্যয়ে, पूलमी বन। जिन।।”
যে ঘটনাকে নিয়ে এই দোহা, তার গল্পটি এই রকম :
একবার বারাণসীর গুরুকুলে নিজেদের পাঠ শেষ করে তিন বিত্বান একসাথে তাদের গৃহের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছে। বাড়ি যাবার রাস্তায় তাদের একটা বনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। বনের মধ্যে কিছুটা যাবার পর তারা দেখলো এক মরা বাঘের দেহ পড়ে আছে। তাই দেথে এই বাঘের প্রতি তাদের দয়া জন্দাল এবং কিভাবে তাদের বিদ্যার প্রভাবে তাকে বাঁচান যায়, তই ভাবতে লাগল। প্রধমজন বললো যে, ডামি এর শরীরের হাড়-মাংসকে হৃষ্টপুষ্ট করতে পারি। দ্বিতীয়জন বললো, আমি এর আগের মতো চামড়াও লাগাতে পারি।
তথন তৃতীয়জন তার বিদ্যাবত্তার অহমিকায় বললো যে, আমি এমন এক মস্ত্র জানি যে তাতে এই বাঘ জীবিত হয়ে যাবে। তিনজনই তাদের বিদ্যাবত্তার পরিচয় দিলে বাঘ জীবিত হয়ে উঠলো এবং তিনজনকেই খেয়ে ফেললো। এরা তিনজনই বিত্বান এবং ऊুণবান ছিলেন, কিলু চাতুর্যতার অভাব ছিলো। বিদ্যার প্রয়োগ কখন, বোধায় ও কতটুকু করতে হবে তা বোঝার জন্য চতুরতার দরকার। আজকল চালাক লোকের অভাব নেই, কিস্ত বিদ্বান, ওণবান এবং সাথে চতুরতা খুব কম্ই দেখা যায়। শ্রীহনুমানজীর বিদ্যাবান, গণবান হওয়ার কথা আগেই বলা হয়েছে কিত্তু তিনি অত্যন্ত চতুর৫ ছিলেন।
শ্রীহনুমানজীর চতুরতার পরিচয় : (১) একবার প্রভু শ্রীরাম কালের আগমনে কালের ইচ্ছায় তাঁদের দু’জনের বার্তালাপের সময় কারোর প্রবেশ নিযেধ করলেন এবং লক্ষ্মণকে আদেশ দিলেন যে কেউ যেন তাঁদের দু’জনের বার্তালাপের সময় সেখানে প্রবেশ না করে। সেই উদ্দেশের অন্য তিনি লস্ম্মণকে দরজায় পাহারায় বসালেন। প্রভু ত্রীরাম একথাও বললেন যে, যদি
কেউ এই বার্তালাপের মধ্যে প্রবেশ করে তবে তার শাস্তি লস্ম্মণকে পেতে হবে। স্বয়ং কাল যখন তার নিজ স্বরূপে প্রভুর সঙ্গে আলাপে ব্যস্ত তখন ঋষি দুর্বাসা দ্বারপ্রাত্তে পোঁছে প্রভু শ্রীরামের সঙ্গে তখনই দেখা করার জেদ ধরলেন। ঋষি দুর্বাসা বলে কথা, যাঁর জিহ্বার অগ্রভাগে সদা অভিশাপ নেচে বেড়ায় বলে খ্যাতি ছিল। লক্ষ্মণ যখন প্রভুর সঙ্গে সাঙ্ষাতের অসুবিধার কথা বারবার বোঝাতে লাগলেন, তখন ঋষি দুর্বাসা প্রচঞ রেগে অভিশাপ দেবার জন্য তৈরি হলেন।
লক্ষ্মণ তখন প্রমাদ গুণে প্রভুর ঘরে প্রবেশ করলেন যেখানে তিনি কালকে তার নিজ স্বরূপে প্রত্যক্ষ করলেন যা কিনা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। প্রভু শ্রীরাম লক্ষমনের কাছ থেকে সব শুনলেন এবং ঋষি দুর্বাসাকে স্বাগত জানাতে তখনই দ্বার প্রাত্তে পৌাঁছলেন। ঋষি দুর্বাসাকে বিদায় করে প্রভু শ্রীরাম তাঁর আদেশ লঘ্যনের জন্য লক্ষ্নণকে শাস্তি দেবার জন্য প্রস্তুত হলেন।
রাজ-আজ্ঞা না পালনের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বলে সাব্যস্ত হলো। সমস্ত অযোধ্যা দুঃখে মুহ্যমান হয়ে পড়লো। প্রভু শ্রীরাম মর্যাদা পুরুযোত্তম। ঢাঁর প্রিয় ভ্রাতার প্রাণদঞ তিনি মেনে নিতে পারছেন না, কিন্তু তাঁর বিধান অলখ্য্য। এই সময় শ্রীহনুমানজী তাঁর অসামান্য শাস্ত্র ও নীতি জ্ঞানের প্রমাণ রেখে প্রভু শ্রীরামকে বোঝালেন যে, শ্রীলক্ষ্মেের পরিত্যাগ তার প্রাণদগ্ডের সমতুল্য হবে।
প্রভু শ্রীরাম, অযোধ্যায় উপস্থিত ঋষিকুল ও ঢাঁর পরামর্শদাতা সবাই শ্রীহনুমানজীর শাস্ত্রসম্মত যুক্তিকে সম্মান করে ওই সিদ্ধাস্তই মেনে নিলেন। শ্রীহনুমানজী অত্যগ্ত চতুরতার সঙ্গে ঢাঁর বিদ্যাবত্তা ও গুণবত্তাকে কাজে লাগিয়ে লক্ষ্মেের প্রাণ বাঁচালেন। লস্মণ অবশ্য এই পরিত্যাগকে মৃত্যু অপেক্ষা কঠিন মেনে সরযূনদীর তীরে দেহত্যাগ করলেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অপ্রকটের আগে সঙ্কর্ষণ বলরাম দেহ রেখেছিলেন তেমনি লক্ষ্মণ প্রভু শ্রীরামের অপ্রকটের আগেই দেহ রাখলেন। আশ্রয়তত্ত্বকে ছাড়া ঈশ্বরতত্ত্তেকে ভাবা যায় না, তা সে এই ভূলোকেই হোক বা চিন্ময়লোকে।
(২) তিনি অত্যন্ত বুদ্ধি করে সূর্যের মতো সম্যক উজ্ট্রলা নাগমাতা সুরসার আশীর্বাদ পান। শ্রীহনুমানজী নাগমাতা সুরসাকে ঢাঁর কর্তব্য, যাত্রার কারণ, প্রভু শ্রীরামের কাহিনী শোনালেন যাতে তিনিও ডাঁকে একাজে সাহায্য করেন। শ্রীহনুমানজী একথাও বললেন যে, তাঁর কাজ শেষ করে এসে নাগমাতা সুরসার মুখে প্রবেশ করবেন। কিল্তু সুরসা মানলেন না। শ্রীহনুমানজী প্রভুর
কাজ বাধা হএয়ায় বিরক্ত হলেন, বিচ্টু তিনি তো অভিমান শূন্য, ক্রোধজয়ী। তিनि दूঝলেন প্রভুর কাজ করতে গোলে নাগমাতাকে প্রসন্ন করতেই হবে। बীহনুমানজী তাঁর চতুরতার পরিচয় দেবার জন্য নাগমাতাকে ইা করতে বললেন। নাগ মাতা সুরসা যত বড় হাঁ করেন, ब্রীহনুমানজ্যী তার দশওুণ দেহ বিস্তার করেন। এই করতে করতে মাতা সুরসা যখন একশ যোজন মুখ বিস্তার করলেন, শ্রীহনুমানজী মুহূর্তে মেঘের মতো নিজের দেহটিকে ছোট করে নিডেন এবং আকার হলো বুড়ো আধুলে মঢো।
মহাবলী ও বুদ্ধিমান হনুমান এবার চোখের পলকে মাতার মুখে প্রবেশ করে বাইরে বেরিয়ে এলেন। মাতা সুরসা কিছু বোঝার আগেই শ্রীহনুমানজী মাতা সুরসাকে তাঁর চতুরতায় পরাস্ত করলেন। এী:নুমানজী দেবী সুরসাকে প্রণাম করলেন এবং দেবী তাঁকে তাঁর অভীষ্ট সিদ্ধির আশীর্বাদ দিলেন। শ্রীহনুমানজীর চতুরতার আরো অনেক কাহিনী রামায়ণে পাওয়া যায়। এই লেখাকে এগিয়ে নেওয়ার পক্ষে মাত্র দুটি ঘটনার উল্লেখ করলাম।
রাম কাজ করিবে কো আডুর : অর্থাৎ প্রভু ঐ্রীরামের কাজ করার জন্য সদা তৎপর। এই চোপাঈ্ঈ-এর প্রসিদ্ধ ও পারম্পরিক অর্থ হলো যেহেতু শ্রীহনুমানজী বিদ্যাবান, ুণবান এবং অত্যন্ত চতুর, তাই প্রভু শ্রীরামের কাষ্জ করার জন্য সদা তৎপর। বিদ্যাবান হবার কারণে তাঁর লস্ষ্য অত্যত্ত স্থির হয়, ওণবান হবার জন্য ওই লক্ষোর প্রতি একাগ্রতা স্বাভাবিক হয় আর তিনি স্বয়ং চতুর হওয়ার জন্য ওই লক্ষ্যে পৌছবার সयন্লত নিশ্চিত হয়।
শ্রীহনুমানজী স্বয়ং ভক্তশিরোমণি আর তাই প্রভুকে বারবার ডেকে তাঁকে কিছু বলতে হয় না বরং শীরনুমানজী প্রভু শ্রীরামের অস্তঃকরণের ইচ্ছাকে আগে থেকে জেনে অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে সেই ইচ্ছাকে পুর্ণ করেন। প্রভু শ্রীরামের কাভে তাঁর কখনও বিশ্রামের চিত্তাই হতো না আর তাই দেবতাদের নির্দেশে যথন মৈনাক পর্বত সমুদ্রলত্টনের সময় শ্রীহনুমানজীকে তাঁর পৃষ্ঠদেশে কিছ্মুকণ বিब্রাম निঢে বললেन তथन শ্রীহनুমानझो বলছেनসুন্দরকাগ)
অর্থাৎ প্রভু শ্রীরামের কাজ শেষ না করে আমি কি করে বিল্রাম নিতে পারি ? এই দোহার এইরকম অর্থও করা যায় যে, যেহেতু প্রভু শ্রীরাহের কাজ করার জন্য শ্রীহনুমানজী সদাই তৎপর ও মুখিয়ে থাকেন, তাই তিনি বিদ্যাবান, গুণী এবং অত্যন্ত বুদ্ধিমান।
শ্রীহনুমানজী নিজের নামে বা ঢাঁর বাবার নামে অথবা ঢাঁর গুণসমূহের উদূঘোযে বিন্দুমত্র উৎসাহিত হন না, কিস্তু यদি তাঁকে বলা হয় যে, প্রভু শ্রীরামের কাজ আছে যা তাঁকে করতে হবে বা প্রভু শ্রীরাম তাঁকে স্মরণ করেছেন, তাহলে তাঁর উৎসাহের অস্ত থাকে না এবং তিনি তাঁর সমস্ত গুণ, বুদ্ধি ও বল निয়ে প্রভুর কাজ সফল করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েন।
শ্রীশ্রীরামচরিতমানসের কিষ্কিষ্ধাকাত্ডের একেবারে শেষ দিকে সমুদ্রের তটে জাম্ববানসহ শ্রীহনুমানজী ও অন্যান্য বানরগণ অত্যন্ত চিস্তিতভাবে অবস্থান করছেন, কারণ গৃখ্ররাজ সম্পাতি একটু আগেই তাঁদের জানিয়েছেন যে, এই বিশাল ও দুস্তর সমুদ্রের ওপারেই রাক্ষসরাজ রাবণের লঙ্কাপুরীর অশোকবনে দেবী সীতা অবস্থান করছেন।
এই বিশাল সমুদ্র লঘনেরে উপায়ে জাম্ববান যখন একে একে অঙ্গদ, নল, নীল ও অন্যান্য বানরদের জিজ্ঞাসা করছেন তখন শ্রীহনুমানজী চুপ করে এই সব থেকে একটু দূরে বসেছিলেন। তাঁর মুখমণ্ডল ছিল শান্ত, ধীর ও প্রভু শ্রীরামের নিরস্তর নাম স্মরণে প্রশান্ত। বানরশ্রেষ্ঠগণ যখন তাদের সমুদ্র লষ্যনের প্রয়াসে তাঁদের সীমিত বলের কথা জানালেন এবং জাম্ববান স্বয়ং তাঁর বৃদ্ধ অবস্থার কथা
বললেন, তখন সবার নজর গেল শ্রীহনুমানজীর দিকে। ব্রস্মার মানসপুত্র জাম্ববান শ্রীহনুমানজীকে উদ্দেশ্য করে বললেন, “‘হে হনুমান, হে বলবান! শুনো, তুমি কেন চুপ করে বসে আছ? তুমি পবনদেবের পুত্র, শক্তিতে তুমি পবনদেবের সমান। তুমি বুদ্ধি, বিবেক আর বিদ্যার ভাগ্ডার।” যখন শ্রীহনুমানজীর মধ্যে এই কথা ওনে কোনো প্রতিক্রিয়া হোল না তখন জাম্ববান আরও বললেন :
“হে বানরশ্রেষ্ঠ শ্রীহনুমান, এই জগতে কোন এমন কঠিন কাজ আছে যা আপনার সাধ্য নয় ? শ্রীরামের কাজের জন্যই তো আপনি অবতার হয়েছেন।” এই কথা শোনা মাত্র মুর্হূতের মধ্যে শ্রীহনুমানজীর দেহ পর্বতসমান বিশাল হয়ে গেলো। লক্ষ্য করুন, জাম্ববান তাঁর গুণের বর্ণনা করলেও তাঁর কোনো প্রতিক্রিয়া হলো না। কিন্তু যখনই তাঁকে শ্রীরামের কাজের কথা স্মরণ করালেন, রীহনুমানজী তৎস্গণাৎ তাঁর স্বরূপ ধারণ করে কাজের জন্য তৎপর হলেন। ঋষিদের অভিশাপে তিনি एँঁর স্বরূপ ভুলে গিয়েছিলেন। কিল্ত জাম্ববান তাঁর অবতারতেনের, প্রভু শ্রীরামের কাজের কথা স্মরণ করালে তিনি স্বমূর্তি ধারণ করলেন।
এই ঘটনা থেকে আমরা বুঝলাম যে, শ্রীহনুমানজীর কৃপা পেতে হলে, তাঁকে জাগাতে হলে (তিনি সর্বদা প্রভু শ্রীরামের নামে ধ্যানস্থ অবস্থায় লীন থাকেন) অন্য কোনো প্রয়াসে কাজ হবে না। শ্রীহনুমানজীকে কেবল রামের নাম এবং রামের কাজের কথা স্মরণ করাতে হবে। আপনার নিজের স্বার্থের জন্য নয়, সবার কল্যাণের জন্য শ্রীহনুমানজীর কৃপা প্রার্থনা করতে হবে।
অর্থাৎ আমাদের প্রার্থনা হওয়া উচিত “’হে হনুমানজী, আমার কষ্ট বা সমস্যা দুর হওয়ার পর প্রভু শ্রীরামের কাজ করতে চাই অর্থাৎ অপরের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করতে চাই।” এই রকম প্রার্থনা করলে শ্রীইনুমানজী অবশ্যই কৃপা করে সঙ্কট বা সমস্যা দূর করে দেবেন। তারপর আমাদের অপরের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করতে হবে। আমরা यদি শ্রীরামের কাজ করতে ভুলে যাই, শ্রীহনুমানজী কিন্তু ভুলবেন না।