Hanuman Jayanti is a significant occasion for the mass recitation of the Hanuman Chalisa Lyrics in English.
Hanuman Chalisa Chaupai 6 in Bengali with Meaning & Analysis
শঙ্কর সুবন কেশরীনন্দন।
তেজ প্রতাপ মহাজগ বন্দन।।
সারানুবাদ : শংকরের পুত্র, রাজা কেশরীকে যিনি আনন্দ দেন, আর তেজের প্রতাপের কারণে সমস্ত জগতে যিনি বন্দনীয়।
অর্থ : গোস্বামীজী শ্রীহনুমান চালীসার দর্শন করাতে করাতে বলছেন যে শ্রীহনুমানজী ভগবান শিবের পুত্র। সুবন মানে পুত্র -এ বিষয়ে বিভিন্ন পুরাণে কিছু বর্ণনা আমরা পাই। শিবপুরাণে (শতরুদ্র সংহিতা, অধ্যায় ২০) বলা আছে যে, ভগবান বিষ্ণুর পুরুযোত্তম শ্রীরাম অবতার ধারণ করার সময় তাঁর লীলায় সক্রিয় অংশ গ্রহণের ইচ্ছা ভগবান শিবের জাগে। সমুদ্রমন্থনের সেই প্রসঙ্গ আমরা জানি যেখানে ভগবান বিষুণু ঢাঁর অপরূপ মোহিনী অবতারে দেবতা ও অসুরদের সমুদ্রমন্থন থেকে প্রাপু অমৃত দেবতাদের পান করিয়েছিলেন এবং রাহর মুঞ্ড ছেদন করেছিলেন। দেবাদিদেব মহাদেব ও ভগবান বিষুণ এর পর এক অপূর্ব লীলাখেলা করেন।
ভগবান শিবের অনুরোধে ভগবান বিষুণু তাঁর সেই ,োহিনী স্বরূপ তাঁকে দর্শন করালে ভগবান শিব মোহিনীর যৌবন, সোন্দর্য ও অঙ্গসজ্জার দর্শনে মোহিত হলে তাঁর বীর্য স্থলন হয়, সপু-ঋষি সেই বীর্যকে পাতায় ধারণ করে সুরক্ষিত স্থানে রেখে দেন এবং পরে ভগবান শংকরের ইচ্ছায় শ্রীরাম অবতারের সময়কালে দেবী অঞ্জনার গর্ভে বায়ুদেবের সাহায্যে তার কর্ণকুহরের মধ্য দিয়ে সেই বীর্য স্থাপন করেন।
এর থেকে অনুমান করা যায় যে আধুনিক বিজ্ঞানের টেস্ট-টিউব বেবির পদ্ধতি আমাদের ঋষি-মুনিরা প্রাচীন কাল থেকেই জানতেন। ভগবান শংকরের তেজ দেবী অঞ্জনার কানে ঢালার অর্থ হলো ভগবান শিবের কল্যাণকারী বচনের, তার শক্তি ও পরাক্রমের বীজের বপন হলো। তাই শ্রীহনুমানজী ভগবান শিবের সর্বগুণসম্পন্ন তেজস্বীতারও ধারক।
আমরা এই শিবপুরাণে (রুদ্রসংহিতা, যুদ্ধখণ্ড, অধ্যায়-২, শ্লোক-৫১) মধ্যেই পাই ডগবান শিবের ত্রিপুরাসুরের বধের অত্যস্ত আকর্ষক ও ঘটনাবহুল কাহিনী। যুদ্ধের আগে দেবতাদের ভগবান শিবের বিভূতি বর্ণনায় শ্রীহনুমানজীর স্বরূপের উঙ্লেখ পাই। তাতে উল্লেখ আছে যে আদিত্যদের মধ্যে বাসুদেব এবং বানরদের মব্যে শ্রীহনুমানজী ভগবান শিবের বিভূতি।
বায়ুপূরাগেও (অধ্যায়-৬০, শ্লোক-৭৩) ভগবান শিবের শ্রীহনুমান অবতার হওয়ার উল্লেখ আছে। তাতে উল্লেখ আছে যে, শ্রীমহাদেব অঞ্জনার গর্ভে পবনপুত্র মহাবিক্রন্মী শ্রীহনুমান স্বরূপে অবতরিত হন। আবার স্কন্দপুরাণে (মাহেশ্বরসংহিতা, কেদারখণ্ড, অধ্যায়-৮, শ্লোক-৯৯, ১০০) উহ্নেখ আছে যে একাদশ রুদ্রই ভগবান বিষুভুর সহায়তার জন্য মহাকপি হনুমানের স্বরূপে অবতরিত হয়েছেন। স্বয়ং গোস্বামীজী তাঁর দোহাবলীতে (দোহা-১৪২, ১৪৩) ঘোষণা করেছেন প্রভু শ্রীরামের তত্তৃ অনুভব করানোর কারণেই শ্রীহনুমানজী ভগবান শিবের অবতার হয়েছেন।
কেশরীনন্দন : কেশরীর যখন অল্প বয়স তখন তিনি গোকর্ণ তীর্থে এক অত্যত্ত শক্তিশালী রাক্ষসকে বধ করেছিলেন। স্বয়ং কেশরীও ভগবান শিবের কঠিন তপস্যা করেছিলেন এবং এই বর পেয়েছিলেন, ‘তুমি ভোলাভালা, বুদ্ধিমান, বলবান আর বিদ্যাবান পুত্র চাইছ তা পাবে কিন্তু সেই পুত্রলাভের তুমি নিমিত্ত হবে।’ আর এই বরদানের কারণেই তিনি শ্রীহনুমানজীকে পুত্ররূপে লাভ করেন।
তেজ প্রতাপ মহাজগ বন্দন : গোস্বামীজী বলেন শ্রীমহাদেবের তেজেরই প্রতাপ শ্রীহনুমানজী, যেমন তেজস্বী, তেমনই প্রতাপী এবং মহানও বটে। তাই সমস্ত সংসার চাঁর বন্দনা করে। প্রভু শ্রীরাম যার গুণ বর্ণনা করতে কখনও ক্লান্ত হন না এবং আনল্দের সাগরে ডুবে যান তিনি জগবন্দনীয়ই ণধু নল, তিনি মহা জগবন্দনীয়।