Many people believe that regular recitation of Hanuman Chalisa Lyrics brings inner peace.
Hanuman Chalisa Chaupai 11 in Bengali with Meaning & Analysis
লায় সজীবন লখন জিয়ায়ে।
শ্রীরঘুবীর হরষি উর লায়ে।
সারানুবাদ : সঞ্জীবন বুটি এনে লক্ষণণকে প্রাণ ফিরে পেতে সাহায্য করলেন। শ্রীরাম প্রসন্ন হয়ে হৃদয়ে লাগালেন (শ্রীহনুমানজীকে)।
ব্যাখ্যা : প্রভু শ্রীরাম তাঁর নরলীলায় সদাই সৌম্য, শাত্ত ও নির্লিপু থাকডেন। করুণা তাঁর হৃদয় ও মনকে সদাই প্লাবিত করে রাখতো। সেই প্রভু শ্রীরাম অত্যন্ত ব্যথিত হয়ে রোদন ও বিলাপ করেছিলেন। প্রথমবার যখন তিনি ও লক্ষ্মণ জনকনন্দিনীর থোঁজে বনে বনে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন, আর দ্বিতীয়বার যখন রাবণপুত্রের (মেঘনাদ) শক্তিশেল বাণে বিদ্ধ হয়ে লক্ষ্মণ মৃত্যুসজ্জায় শ্রীরামের কোলে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
ত্রীশ্রীরামচরিতমানসে উঙ্লেখ আছে যে, লক্ষ্মণ লঙ্কাযুদ্ধের সময় দুইবার মেঘনাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। প্রথমবার লস্ট্মণ মেঘনাদকে না পরাস্ত করতে পেরেছিলেন না তাকে মারতে পেরেছিলেন, উপরত্ত মেঘনাদকে দেওয়া ব্রম্মার শক্তিশেল অস্ত্র দ্বারা বিদ্ধ হয়ে মৃত্যুপথযাত্রী হয়েছিলেন।
প্রথমবার দাদা প্রভু শ্রীরামের আভ্ঞা তো নিয়েছিলেন কিস্ত নিজে অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হয়ে, উত্তেজিত হয়ে যুদ্ধযাত্রা করেছিলেন। কিল্তু লক্ষন্মণ যুদ্ধযাত্রা করার আগে প্রভু শ্রীরামের চরণ ছুঁয়ে আশীর্বাদ চেয়েছিলেন এরকম কোনো উল্লেখ নেই। কিস্তু দ্বিতীয়বার শ্রীরঘুনাথের চরণে প্রণাম করে লক্ষ্মণ দ্রুত যুদ্ধের জন্য রওনা হলেন।
এই ঘটনা আমাদের কাছে একটা দৃষ্টান্ত স্বরূপ যে, কঠিন পরিস্থিতিতে, বিপরীত অবস্থায় নিজের বল ভরসাই সব কিছু করতে পারে না, প্রভুর কৃপাও একইভাবে কাম্য। প্রভুর চরণে কায়-মনো-বাকে্য’-র প্রার্থনা তাঁর কৃপা নেনে আসতে সাহায্য করে। লস্মৃণ দ্বিতীয়বারের যুদ্ধে মেঘনাদকে বধ করতে সমর্থ रয়েছিলেन। শ্রীশ্রীরামচরিতমানসে যদিও উল্লেখ নেই কিষ্তু অন্যত্র এরকম বর্ণনা পাওয়া যায় যে, প্রভু শ্রীরামের বানর সেনাতে সুষেণ নামক এক সুযোগ্য চিকিৎসক
ছিলেন যিনি লক্ষ্মনের শক্তিশেলে বিদ্ধ হওয়ার আগে, কয়েকজন বানর-ঋস্ক যোদ্ধাকে বাণের আঘাতে আহত অবস্থায় তাঁর ঔষধের সাহায্যে সুস্থ করে তুলেছিলেন। কিল্ণু শ্রীশ্রীরামচরিতমানসের ঘটনাই অধিক প্রসিদ্ধ যে মহামতি জাম্ববানের পরামর্শে শ্রীহনুমানজী লঙ্কাপুরীতে ছোট আকারে প্রবেশ করে বিশাল আকার নিয়ে আকাশমার্গে লঙ্কার বৈদ্যরাজ সুযেণকে তার বাটিকাশুদ্ধ তুলে নিয়ে আসেন।
বৈদ্যরাজ সুযেণ প্রথনে লস্ম্মেণের চিকিৎসা করতে তাঁর অসুবিধার কथ জানালে শ্রীহনুমানজী অত্যন্ত সুচিন্তিত মত ও তর্ক উপস্থাপিত করে তাকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন যে, চিকিৎসকের কাজ রোগীকে দেখা, তা সে যে পক্ষেরই হোক না কেন। কথা জানালে চারিদিক এক গভীর নৈরাশ্যে ছেয়ে গেল। বৈদ্যরাজ যে বিধানের কথা বললেন তা আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভব মনে হলো সবার। বৈদ্যরাজ বললেন, “যদি সূর্যোদয়ের আগে হিমালয় থেকে সঞ্জীবনী বুটি আনা যায়, তবে তার থেকে প্রস্তুত ঔষধ লক্ম্নেের মূর্ছ্রাকে সমাপু করতে পারে।”
শ্রীহনুমানজী সব কিছু সহ্য করতে পারেন কিস্তু প্রভু শ্রীরামের অশ্র সইতে পারেন না। তিনি এই কथা শনে এগিয়ে এলেন। তাকে দেখে প্রভু শ্রীরাম কিছু বলার আগে, বৈদ্যরাজ, যিনি শ্রীহনুমানজীকে লঙ্কাদহনের সময় দেখেছিলেন, বললেন, “হে বানরশ্রেষ্ঠ, এই কাজ একমাত্র আপনিই করতে পারেন।” প্রভু শ্রীরামকে আপ্বস্ত করে শ্রীহনুমানজী বিশ্বাসভরা শব্দে বললেন, “প্রভু, আপনি নিশ্চিত থাকুন, যতক্ষণ আমি ঔষধি নিয়ে না আসছি, ততক্ষণে সূর্য আকাশে উঠবার সাহসই করবে না।” এই বলে প্রভুর আজ্ঞ ও মনে মনে তাঁর চরণে প্রণাম জানিয়ে গভীর অন্ধকারে শ্রীহনুমানজী দ্রুতবেগে মিলিয়ে গেলেन।
একথা আমরা সবাই জানি যে শ্রীহনুমানজীর হিমালয় পর্বতের যাত্রার কথা গুপ্তচরের মুতে জানতে পেরে লস্কেশ প্রচণ্ড পরাক্রমী ও মায়াবী কালনেমীকে দ্রোণ পর্বতের পথে রওনা করিয়ে দেন মূলতঃ শ্রীহনুমানজীকে ঢাঁর যাত্রাপথে বিলম্ব ঘটানোর জন্য। কালনেমি তার কাজে প্রায় সফল হয়ে গিয়েছিল কারণ তার মুনিবেশে করা রামকথা শীরনুমানজীকে এতটইই দ্রবীভূত করে দিয়েছিলো যে তিনি প্রভু শ্রীরামের কথার আবেশে তাঁর তৃষ্ণা নিবারণের
ছিলেন যিনি লক্ষণের শক্তিশেলে বিদ্ধ হওয়ার আগে, কয়েকজন বানর-ঋক্ষ যোদ্ধাকে বাণের আঘাতে আহত অবস্থায় তাঁর ঔ্ষষধের সাহায্যে সুস্থ করে তুলেছিলেন। কিল্তু শ্রীশ্রীরামচরিতমানসের ঘটনাই অধিক প্রসিদ্ধ যে মহামতি জাম্ববানের পরামর্শে শ্রীহনুমানজী লঙ্কাপুরীতে ছোট আকারে প্রবেশ করে বিশাল আকার নিয়ে আকাশমার্গে লঙ্কার বৈদ্যরাজ সুযেণকে তার বাটিকাশুদ্ধ তুলে নিয়ে আসেন।
বৈদ্যরাজ সুযেণ প্রথমে লস্ক্নের চিকিৎসা করতে তাঁর अসুবিধার কথা জানালে শ্রীহনুমানজী অত্যন্ত সুচিত্তিত মত ও তর্ক উপস্থাপিত করে তাকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন যে, চিকিৎসকের বাজ রোগীকে দেখা, তা সে যে পক্ষেরই হোক না কেন।
বৈদ্যরাজ লক্ষ্মণকে ভালভাবে পরীক্ষা করার পর লক্ষ্মেণের সঙ্কটময় অবস্থার কথা জানালে চারিদিক এক গভীর নৈরাশ্যে ছেয়ে গেল। বৈদ্যরাজ যে বিধানের কথা বললেন তা আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভব মনে হলো সবার। বৈদ্যরাজ বললেন, “यদি সূর্যোদয়ের আগে হিমালয় থেকে সঞ্জীবনী বুটি আনা যায়, তবে তার থেকে প্রস্তুত ঔষধ লক্ষ্মেরে মূচ্চ্ছাকে সমাপ্ত করতে পারে।”
শ্রীহনুমানজী সব কিছু সহ্য করতে পারেন কিস্তু প্রভু শ্রীরামের অশ্রু সইতে পারেন না। তিনি এই কথা শনে এগিয়ে এলেন। তাকে দেখে প্রভু শ্রীরাম কিছু বলার আগে, বৈদ্যরাজ, যিনি শ্রীহনুমানজীকে লঙ্কাদহনের সময় দেখেছিলেন, বললেন, “‘হে বানরশ্রেষ্ঠ, এই কাজ একমাত্র আপনিই করতে পারেন।” প্রভু শ্রীরামকে আশ্বস্ত করে শ্রীহনুমানজী বিশ্বাসভরা শব্দে বললেন, “প্রভু, আপনি নিশ্চিত থাকুন, যতক্ষণ আমি ঔষধি নিয়ে না আসছি, ততক্ষণে সূর্য আকাশে উঠবার সাহসই করবে না।” এই বলে প্রভুর আজ্ঞ ও মনে মনে ঢাঁর চরণে প্রণাম জানিয়ে গভীর অন্ধকারে শ্রীহনুমানজী দ্রুতবেগে মিলিয়ে গেলেन।
একথা আমরা সবাই জানি যে শ্রীহনুমানজীর হিমালয় পর্বতের যাত্রার কথা গুপ্তচরের মুতে জানতে পেরে লস্কেশ প্রচণ্ড পরাক্রমী ও মায়াবী কালনেমীকে দ্রোণ পর্বতের পথে রওনা করিয়ে দেন মূলতঃ শ্রীহনুমানজীকে তাঁর যাত্রাপথে বিলম্ব ঘটানোর জন্য। কালনেমি তার কাজে প্রায় সফল হয়ে গিয়েছিল কারণ তার মুনিবেশে করা রামকথা শীহনুমানজীকে এতটইই দ্রবীভূত করে দিয়েছিলো যে তিনি প্রভু শ্রীরামের কথার আবেশে তাঁর তৃষ্ণা নিবারণের
জন্য মুনির কাছে জল চাওয়ার ইচ্ছে ও সঞ্জীবনী বুটি আনার কথা সম্পুর্ণ ভুলে গিয়েছিলেন। কিন্ত্ত কালনেমির জ্ঞান সীমিত হওয়ায় একসময় সে কথা ছেড়ে নিজের প্রশংসা ওরু করায় শ্রীহনুমানজীর ঘোর কেটে যায় এবং তার সঙ্গে সঙ্গে জল-তৃষ্ণার কথা মনে পড়ে। কালনেমি তাঁকে কমণ্ডলুর জল পান করতে বললে শ্রীহনুমানজী এত অল্প জলে তাঁর তৃষ্ণা নিবারণ হবে না বলায় তিनि ইभिতে জলাশয় দেখিয়ে দেন। মহামায়াবী কালনেমি শ্রীহনুমানজীর বাজে আবার বিঘ ঘটানোর আশায় তাঁকে বললেন, ” ‘হে কপীন্দ্র, আমি ত্রিকালজ্ঞ তোমায় আগেই বলেছি।
আমি আমার তপোবলের প্রভাবে দেখতে পাচ্ছি যে প্রভু শ্রীরাম ও লঙ্কাধিপতি রাবনের মধ্যে ঘোর যুদ্ধ চলছে এবং প্রভু শ্রীরামের ভাই লক্ষ্নণ যে কিনা রাবণপুত্র মেঘনাদের শক্তিশেল বাণে মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছিল, সে এখন সুস্থ হয়ে উঠেছে এবং বাকি বানর ও প্রভু শীরামের সাথে আলাপচারিতায় ব্যস্ত আছে। অতএব তুমি এই আশ্রমে স্থির হয়ে বস এবং ফলমূল গ্রহণ করে পরে জলপানের জন্য সরোবরে যাও।
শ্রীহনুমানজী মায়াবী মুনিকে বললেন, “প্রভুর দর্শন ছাড়া আমি এক মুহূর্ত নষ্ট করতে চাই না। তাই আপনার দেখানো সরোবরে আমি চললাম।” কালনেমি তখন শ্রীহনুমানজীকে বললেন, “কপীবর, আপনি চোখ বন্ধ করে জলপান করবেন।” কালনেমি জানতেন এই সরোবরে এক মস্ত মায়াবিনি ঘোররূপিণী কুমীরের রূপ ধরে অবস্থান করছে। শ্রীহনুমানজী চোখ বন্ধ করে জলপান করলে এই কুমীর তাঁকে ফ্ষতবিক্ষত করবে এবং আহত শ্রীহনুমানের পক্ষে বাকি কাজ করা অসষ্ভব হবে।
সেই ঘোররূপিণী কুমীর শ্রীহনুমনজীর জলপানের সময় তার বিশাল মুখ দিয়ে শ্রীহনুমানজীর পা কামড়ে ধরলো। শ্রীহনুমানজী চোখ বন্ধ রাখায় দেখতে পাননি। কিন্তু আঘাত পাওয়া মাত্র চোখ খুলে কুমীরকে দেখামাত্র অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হয়ে তাঁর বিশাল হাত দিয়ে সেই কুমীরের মুখকে চিরে দুভাগ করে দিলেন এবং সেই কুমীরের তৎক্ষণাৎ মৃত্যু হলো। সহসা শ্রীহনুমানজী সরোবরের উপর আকাশে এক দিব্যরূপী স্ত্রীকে দেখলেন। সেই স্ত্রী তার দুই হাত জোড় করে শ্রীহনুমানজীকে প্রণাম করে বললেন, “হে কপীপ্বর! আমি একজন শাপগ্রস্ত অপ্সরা।
আমার নাম ধাপ্বমালী। আজ আপনার পবিত্র স্পর্শে আমি শাপমুক্ত হলাম। হে অনঘ! এই যে সুরম্য আশ্রয় দেখছেন, এ পুরোপুরি মায়া দ্বারা রচিত। মুনির বেশে মায়াবী কালনেমী আপনার কাজে বাধা দেবার উদ্দেশে এই সব করছে। আপনি এই দুষ্টকে মেরে শীঘ্র দ্রোণাচলে প্রস্থান করুন। আজ আমি কৃতার্থ আপনার স্পর্শে এবং আমি ব্রহ্মলোক চললাম।”
পরের ঘটনাক্রম্ম আমরা জানি। শ্রীহনুমানজী দ্রোণাচল পর্বতে গিয়ে বুঝতে না পেরে সঞ্জীবনী বুটির গাছ সমতে দ্রোণ পর্বতমালার একটা বিরাট অংশ তুলে এলেছিলেন। দুটি ঘটনা এর মধ্যে ঘটেছিল যা উল্লেখ করা খুবই প্রাসঙ্গিক হবে। (এক) ভরত যখন শ্রীহনুমানজীকে ওই বিশাল পাহাড়সমেত ঢাঁর বাণের দ্বারা মাটিতে নামিয়ে আনলেন, তখন শ্রীহনুমানজীকে প্রভু শ্রীরামের নাম অচেতন অবস্থায় উচ্চারণ করতে তনে মুহূর্তে বিহ্বল হয়ে পড়লেন। রাম-প্রেমিক শ্রীভরতের মনের অবস্থা সমস্ত রামায়ণ যখন বর্ণনা করছেন তখন অতি বড় পাষণুও অর্রু সংবরণ করতে পারবে না।
শ্রীভরতের মনে হলো তাঁর মতো অপরাধী এই পৃথিবীতে দ্বিতীয় কেউ নেই। প্রভুর কাজে আবার বাধার তিনিই কারণ হলেন। তিনি বুঝতে পারছিলেন যে শ্রীহনুমানজী প্রভু শ্রীরামের কোলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে যাচ্ছিলেন। শ্রীহনুমানজীর অ্জান ফেরানোর সব চেষ্টাই যখন ব্যর্থ হলো এবং বাণের আখাতে অনেক রক্ত স্ষুরণ হচ্ছিল, তখন ঐ মাঝরাত্রে শ্রীভরতের আহ্বানে, গুরুদেব শ্রীবশিষ্ট, তিনমাতা, শত্রুঘ্ন ও প্রধান সেনাপতিরা হাজির হলেন।
গুরুদেবের পরামর্রে সবাই যখন উট্চেস্বরে রামনাম সঙ্কীর্তন করলেন, তখন শ্রীহনুমানজীর চেতনা ফিরে এলো। শ্রীভরত বারবার অর্রসজল নেত্রে তার কাছে স্কমা চাইলেন। তিনি লক্ষ্মনের সঙ্কটের কথা বলায় উপস্থিত সবাই অত্যন্ত ব্যাকুল হয়ে উঠলেন। শ্রীভরত অযোধ্যার সেনাদের প্রভু – রীরামের সাহায্যের জন্য পাঠানোর প্রস্তাব দিলে গুরুদেব তা বারণ করলেন।
শ্রীহনুমানজীকে শীঘ্র যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানোর উদ্দেশে শ্রীভরত ঢাঁর বাণের উপর শ্রীহনুমানজীকে সেই বিশল্যকরণীর সঙ্গে বসতে বললে শ্রীহনুমানজী তাঁর বায়ুপুত্র হবার পরিচয় দিয়ে সাহায্যের জন্য শ্রীভরতের অকুষ্ঠ প্রশংসা করে তাঁদের সবাইকে আশ্বস্ত করলেন এবং প্রণাম করে রওয়ানা रলেन।
(দুই) শ্রীহনুমানজীর অত্যন্ত সূক্ষ্ম অহংকার হয়েছিলো যখন ঐ বিশাল পর্বতসহ শ্রীহনুমানজীকে শ্রীভরত তাঁর বাণের উপর বসতে বলেছিলেন। শ্রীহনুমানজী ভেবেছিলেন একটি বাণ কি এই ভার সহ্য করতে পারবে ? যাই হোক, প্রভু শ্রীরামের কৃপায় তা নিরসন হয়েছিলো। এখানে আর একটি থুব স্বাভাবিক প্রশ্ন এসে যায় যে শ্রীহনুমানজী যিনি স্বয়ং জ্ঞান-গুণ সাগর, তিনি দ্রোণ পর্বতমালায় অবস্থিত বিশল্যকরণীর মধ্যে সঞ্জীবনী বুটিটি চিনতে পারলেন না যার জন্য তাঁকে ওই পর্বতমালার বিরাট অংশ তুলে আনতে হলো? এর উত্তর আমরা পাই ‘অদ্ভুত রামায়াণে’র কথাক্রমের বিচারে।
শ্রীহনুমানজীর পরাক্রম, করুণা, অনুকম্পা ও দূরদৃষ্টির আলোচনায় আমরা দেখতে পাই যে, যখন তিনি সঞ্জীবনী বুটির থোঁজ পেলেন এবং দেখলেন যে এই বুটির সাথে সাথে আরো অসংখ্য জড়িবুটি চতুর্দিকে পর্যাপ্ত পরিমাণে অবস্থান করছে যার সম্বন্ধে তাঁর যথেষ্ট ধারণা শিক্ষাগুরু সূর্যদেবের কাছ থেকে পেয়েছিলেন, তখন তাঁর মনে এক বিচার এলো যে প্রভু শ্রীরামের ভাই লক্ষ্মণের জন্য তো আমি এই দ্রোণ পর্বতমালায় এসেছি, কিষ্তু এই যুদ্ধ
(রাম-রাবগের) যদি লম্বা চলে, তাহলে আমাদের বাহিনীতে থাবা বানর বা ঋক্ষরাও বাণের আঘাতে যে কোনো সময় জখম হতে পারে। তাহলে তাদের উপাচারের কি হবে? তখন তো এই উদ্যোগ নাও হতে পারে? তাই শ্রীহনুমানজী ঢাঁর পরাক্রম, করুণা (সাধারণ যোদ্ধাদের কথা ভেবে) ও দূরদৃষ্টির ছাপ রেখে সঞ্জীবনী বুটিসহ অনেক বুটি সমৃদ্ধ বিশাল গক্ধমাদন পর্বত স্বেচ্ছায় লঙ্কায় আনলেন।