Hanuman Chalisa Chaupai 13 Meaning in Bengali

Some devotees keep a copy of the Hanuman Chalisa in English in their homes for daily prayer.

Hanuman Chalisa Chaupai 13 in Bengali with Meaning & Analysis

সহস বদন তুম্হরো যশ গাবৈঁ।
অস কহি শ্রীপতি কষ্ঠ লগাবৈঁ॥

সারানুবাদঃ “হাজার মুখ তোমার কীর্তি গইইবে”, এরকম কথা বলে লক্ষ্মীপতি শ্রীরাম তাঁকে আলিঙন করলেন।

ব্যাখ্যা : হনুমান চলীসায় যখন সঞ্জীবনী বুটি এনে লক্ষ্মের প্রাণ ফিরে পাওয়ার কথা-প্রসঙ্গ আসে, তখন প্রভু শ্রীরামের ভাবাপ্লুত গদগদ কণ্ঠে শ্রীহনুমানজীর যশোগান ধ্বনিত হয় কৃতজ্ঞতাপূর্ণ হৃদয়ের মূল থেকে।

প্রভু শ্রীরাম বলছেন, “’হে হনুমান, সহস্র মুখে তোমার জয়গান হবে। মুনি, ঋষি, যোগী ও তোমার দ্বারা উপকৃত মানবগণ মুক্তকণ্ঠে তোমার জয়গান করবে। সহস্র ফণাধারী শেষনাগের কথাও প্রভু শ্রীরামের মনে পড়লো। তিনি

আরও বললেন, “হে হনুমান, যে সহশ্র ফণাধারী শেষনাগ তার মস্তকে পৃথিবীকে ধারণ করে আছে, সেই শেষনাগও তোমার যশোকীর্তি সহস্র কঠ্ঠে কীর্তন করবে।” প্রভু শ্রীরামের সহস্র ফণাধারী শেষনাগের কথা কেন মনে পড়লো ?

(এক) শেষনাগ হলেন স্বয়ং আশ্রয়তত্ত্ব। প্রভু শ্রীরাম হলেন ঈশ্বরতত্ত্য বা বিষয়তত্ত্ব। আশ্রয়তন্ত্বের কাজ হলো সৃষ্টিতত্ত্বের আধার ব্যবস্থার সুচারু পালন। সেই তিনি শ্রীহনুমানজীর যশোগান করছেন মানে শ্রীহনুমানজীর উপর তিনি পরম সস্তুষ্ট ও প্রসন্ন। এর কারণ শ্রীহনুমানজীর সমস্ত সৎকর্ম সৃষ্টির শাশ্বত কল্যাণের জন্যই তো হয়ে থাকে।

(দুই) এছাড়া লস্ষ্মণ হলেন শেষনাগের অবতার। এর অর্থ লক্ষ্মণ শ্রীহনুমানজীর যশোগান করছেন। প্রভু শ্রীরাম লক্ষম্মণের স্বভাব সম্বন্ধে বলেছেন যে লক্ষ্মণ স্বভাবতই বড় ক্রোধী এবং আমাকে সন্তুষ্ট করা যত সহজ, ঠিক ততটাই কঠিন লক্ষ্মণকে প্রসন্ন করা। সঞ্জীবনী বুটি এনে লস্ম্মনের জীবন ফিরে পাওয়ায় লক্ষ্মণ তাঁর অকুঠ্ঠ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে সহশ্র মুখে তাঁর যশোগান করে।

‘বাল্মীকি রামায়ণে’ প্রভু ब্রীরাম বলেছেন- “হে কপি, তোমার এক একটি উপকারের জন্য প্রসন্ন হয়ে আমি তোমার জন্য আমার প্রাণ পর্যণ্ত দিতে প্রস্তুত। তুমি যে উপকার করেছ, তার প্রত্যুত্তর দেবার কারণ না ঘটায় তা আমার মধ্যেই ঋণের বোঝা হয়ে রয়ে যাবে।” (কারণ আমি চাই না আমার ঋণ শোধ করার সুযোগের জন্য স্বয়ং সঙ্কটমোচনই কোনো সঙ্কটে পफ़ून)।

প্রভু শ্রীরাম আরও বলেছেন যে, শুধু তিনি, লক্ষ্মণ বা জনকনन্দিনীই নয় সমস্ত রঘুকুল তাঁর প্রতি চিরঋণী হয়ে থাকবে।এর থেকে একটা জিনিস স্পষ্ট যে, প্রভু শ্রীরাম নিজে শত সঙ্কটের মধ্যে পড়তে রাজী আছেন, কিল্তু তাঁর ভক্তদের সঙ্কট উৎপন্ন হোক এবং তিনি তার উদ্ধারের জন্য যান এরকম কখনও ইচ্ছা করেন না।

Leave a Comment