Devotees organize Shree Hanuman Chalisa Satsangs to collectively chant this sacred hymn.
Hanuman Chalisa Chaupai 16 in Bengali with Meaning & Analysis
তুম উপকার সুগ্রীবহি কীন্হা।
রাম মিলায় রাজপদ দীনহা।
সারানুবাদঃ আপনি বানররাজ সুগ্রীবকে অনুগ্রহ করলেন। ফলে প্রভু শ্রীরামের সাথে মিলন হলো এবং ঢাঁকে রাজ সিংহাসন পাইয়ে দিলেন।
ব্যাখ্যা : শ্রীহনুমানজীর শিক্ষাগুরু আদিত্যদেব অর্থাৎ সূর্যদেব। শিক্ষান্তে শীরনুমানজীকে সূর্যদেব মার্গদর্শন করিয়ে অনেক কথার মধ্যে একথাও বললেন যে, “’হে প্রিয় হনুমান, তোমার শিক্ষা শেষ হয়েছে। আমি চাইব, তুমি কিষ্কিষ্ধার যুবরাজ সুগ্রীবকে সবরকমের অনুগ্রহ প্রদর্শন করবে এবং তার ইচ্ছাকে সম্মান করবে।” সূর্যদেবের মানসপুত্র ও আশীর্বাদধন্য হলেন কিষ্কিন্ধার মহাবলী বানররাজ বালীর ভাই যুবরাজ সুগ্রীব।
শিক্ষাত্তে শ্রীহনুমানজী যুবরাজ পদে অধিষ্ঠিত হলেও (শ্রীহনুমানজীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে সুমেরু পর্বতের যে অংশের রাজা ছিলেন পিতা কেশরী, সেই রাজ্যের যুবরাজ করে দিলেন। মাতা অঞ্জনার ইচ্ছাও তাই ছিল) পিতা ও মাতাকে বুঝিয়ে মহাবলশালী বালীর রাজদরবারে সুগ্রীবের সাথে অবস্থান করেছিলেন।
পরে ঘটনা পরম্পরায় যখন ভ্রাতা বালী সুগ্রীবকে রাজ্য থেকে তাড়িয়ে দেয়, তাকে মারবার জন্য বদ্ধপরিকর হলেন, তখন সুগ্রীব ও তার অনুচরদের সাথে শ্রীহনুমানজী প্রথমে মহাঋষি মাতঙ্গের আশ্রমে ও পরে ঋষি মাতঙ্গের পরামর্শে ঋষ্যমুক পর্বতের শীর্ষে বাস করতে লাগলেন। যুবরাজ সুগ্রীবের উপর – শীহনুমানজীর অনুগ্রহ এক দৃষ্টান্তস্বরূপ। কয়েকটি তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
(এক) যুবরাজ সুগ্রীবের ঘোর বিপদের দিনে শ্রীহনুমানজী তার সঙ্গই ওধু দেননি, তাকে একজন সদ্গুরু বা সন্ত যেমন সদা উপকারের জন্য তৎপর থাকেন, তেমনই এর মার্গদর্শন করিয়েছেন।
(দুই) মহাবলশালী বালী যখন যুবরাজ সুগ্রীবের স্ত্রী রুমাকে আটকে রেখে সুগ্রীবের প্রাণনাশের চেষ্টায় চতুর্দিকে তার খোঁজ করছেন, তখন শ্রীহনুমানজী তাকে রস্ষনর উপায় বার করার জন্য সচেচ্ট হয়ে তাকে মহাঋযি মাতঙ্গের আশ্রমে আনলেন। শ্রীহনুমানজী জানতেন যে ঋযিবরের অভিশাপে মহাবলী বালী তাঁর আশ্রমে পদার্পণ করলে তার তৎক্ষণাৎ মৃত্যু হবে।
(তিন) সদা মৃত্যুভয়ে ভীত সুগীবকে তিনি তাঁর নিজের বল ভ শোর্যের কাহিনী শুনিয়ে সদা আশ্বস্ত করতেন।
(চার) পরব্রঞ্ম ভগবান রামের সঙ্গে শ্রীসুগ্রীবের তিনি শধু মৈত্রীই করাননি, তাঁদের এই দিব্য-ঐক্য অনেক অঘটন ঘটিয়েছিলো, যা কিনা ভগবান শীরামের স্বাভাবিক কৃপাস্বরূপ। মহাবলশালী বালী নিহত হলেন এবং -্রীসুগ্রীব কিষ্কিন্ধার সিংহাসনে আরোহণ করলেন।
স্বয়ং ঈশ্বর সাথে থাকলে আর আপনার কি চাই? এক প্রকৃত সদ্গুরুই সাধককে পরব্রস্মের সাথে মেলাতে পারেন এবং সনাতন অদ্বৈতের অনুভব করাতে পারেন। শ্রীসুগ্রীব প্রভুর কৃপায় মৃত্যুভয় রহিত হলেন এবং তার স্বভাব আন্তরিক শান্তি এবং অচল প্রতিষ্ঠা প্রাপ্ত হলো।