The Hanuman Chalisa tells the tale of Hanuman’s devotion and unwavering loyalty to Lord Rama.
Hanuman Chalisa Chaupai 19 in Bengali with Meaning & Analysis
প্রভু মুদ্রিকা মেলি মুখ মাহীঁ।
জলধি লাঘিঁ গয়ে অচরজ নাহাঁ।
সারানুবাদ : থ্রভু শ্রীরামের আংটি মুখে রেখে সমুদ্র লখ্ঘন করে যাওয়ার মধ্যে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।
ব্যাখ্যা : গোস্বামী তুলসীদাসজী এই চৌপাঈতে প্রভু শ্রীরামের দেওয়া আংটিকে তাঁর কৃপার প্রতীক হিসাবে দেখিয়েছেন। আমাদের দেশে এমনকি পাশ্চাত্য দেশের লোকাচারের পরম্পরায় ‘সাগাই’এ এই আংটির এক বিশেষ ভূমিকা আছে। যুবক ও যুবতীর সমস্ত জীবনে এই আংটি এক অটুট সম্বন্ধের চিহুরূপে সদা বিরাজ করে।
সেইরকম আত্মতত্ত্ব ও পরমামতত্ত্বের মধ্যেও এক অটুট সম্বন্ধ আছে যা ঈশ্বরের কৃপায় ‘প্রভুমুদ্রিকা’ জীবাত্মার পরমাত্মার সাথে মিলনের পথকে সহজ করে। ভক্তের অনুভূতিতে যখন এই বিষয় দৃঢ হয়, তখন তার কৃপাপ্রাপ্তির বিশ্বাস তাকে নিরন্তর সংসাররূপ সাগর অতিক্রং করার প্রেরণা যোগায়। গোস্বামীজী শ্রীহনুমানজীর প্রসঙ্গে বলছেন যে, প্রভুকৃপাস্বরূপ মুদ্রিকা যখন তাঁর সহায় তখন তিনি যে দুস্তর সাগর হেলায় লাফ দিয়ে অতিক্রম করবেন এতে আর আশ্চর্য হবার কি আছে।
আমরা যদি আধ্যাছিক দিক দিয়ে বিচার করি তবে এই সাগরকে ভারত আর লঙ্কার মধ্যেকার সাগর না ভেবে তাকে সংসাররূপ সাগর ভাবতে পারি এবং মহাকবি কালিদাসের ‘রঘুবংশম’-এর মতো বলতে পারি :
‘মারুতিঃ সাগরংতীর্ণঃ সংসারমিব নির্মমঃ’ অর্থাৎ শ্রীহনুমানজী এমন ভাবে সমুদ্রে লাফ দিয়ে পার হলেন যেমন করে মমতারহিত ব্যক্তি সংসার-সাগর হেলায় পার হয়ে যায়।
ঈশ্বরকৃপা ভক্তকে যেমন কর্তব্য বিষয়ে সচেতনতা দেয় তেমনই সংসার মায়াস্বরূপ মমতার ডালপালা বেশি মেলতে দেয় না। সত্যি কথা বলতে কি মানুষকে সংসারে বেঁঁ রাখার ক্ষমতা কারোরই নেই। মানুষ নিজেই সাংসারিক মোহমায়াকে কাছে টেনে নিয়ে নানান বঙ্ধনে বেঁধে যায়। সমস্যার মূল যে ‘আমি’, ‘আমার’ ইত্যাদি স্বরূপ অহংকার, এর থেকে মানুষ যখন অভ্যাস ও বৈরাগ্যযোগে বেরিয়ে আসে, তখন তার সাধনপথ হয় সদা বিঘ্নরহিত ও আনन्দপূর্ণ।
প্রভুকৃপা যাঁর সহায়, তিনি অহংকার রহিত, তাঁকে ভবসাগর সাঁতরে পেরোতে হয় না, তিনি যে মুদ্রায় আসন নিন্ না কেন, সেই অবস্থায়, সেই নামস্বরূপ ভাবাবিষ্ট অবস্থায় তিনি ভবসাগর লঙ্খন করে যান। বহু সাধক, যোগী, ভক্ত এর সাক্ষী আছেন। তাই শ্রীহনুমানজীর মুদ্রিকাস্বরূপ শ্রীরামকৃপা যে ঢাঁকে সাগর অতি সহজে লখ্টন করাবে এতে আশ্চর্য হবার কিছু নেই।