Devotees believe that the Shri Hanuman Chalisa has the power to fulfill sincere prayers.
Hanuman Chalisa Chaupai 23 in Bengali with Meaning & Analysis
আপন তেজ সম্হারো আপে।
তীনোঁ লোক হাঁক তেঁ কাঁটৈ।
সারানুবাদঃ আপনার তেজ একমাত্র আপনিই সম্বরণ করতে পারেন। আপনার হুক্কারে ত্রিভুবন কম্পিত হয়।
ব্যাখ্যা : শ্রীহনুমানজীর অমিত তেজ তাঁর সর্বকণেণের সঙ্গী। তাঁর এই তেজ কেবলমাত্র ঢাঁর শারীরিক শক্তিতেই সীমাবদ্ধ নয়, তাঁর এই তেজের মূল কারণ নিহিত আছে তাঁর অখণ ব্রদ্মাচ্য ও অনन ভক্তির মধ্যে। ঢাঁর এই তেজকে এক তিনিই সামলাতে পারেন। অন্য কেউ একে সীমিত করতে পারে না। তাঁর এই তেজ, পরাক্রম ও হঙ্কারের বর্ণনা সম্পূর্ণ রামায়ণের বিভিন্ন জায়গায় পাই, বিশেষত সুন্দর কণ্ডে। আর তাইতো গোস্বামীজী এই কাণ্ডকে সুন্দর বলে বর্ণনা করেছেন।
তাঁর এই তেজঃপূর্ণ চেহারার সাক্ষী অনেকেই। লঙ্কা দহনের সময় তিনি এক বিশাল, করাল ভ ভয়ঙ্কর মূর্তি ধারণ করেন। তাঁর বলদীপু অট্টহাস্য লঙ্কা দহনের সময় সমস্ত লঙ্কাবাসীকে অসহায় ও অনাথ করে দিয়েছিল। তাঁর বিশাল চেহারা যেন আকাশকে ছুঁর়েছিল। সমুদয় লঙ্কাবাসী চীৎকার করে ঘোষণা করেছিল যে, এ কোনো সাধারণ বানর নয় বরং এ নিশ্চয় বানরের রূপে কোনো দেবতা।
বস্তুতঃ ঢাঁর এই স্বরূপ আমরা প্রথম দেখতে পাই কিষ্কিন্ধাকাতের শেষে যখন প্রভু শ্রীরামের কাজের জন্য ঋক্ষরাজ জাম্ববান শ্রীহনুমানজীকে প্রেরণা দেন সমুদ্রের এই পারে। সেই সময় শ্রীহনুমানজীর তেজঃপূর্ণ স্বরূপ মেরু পর্বতের মতো বিশাল হয়েছিল। পরে অশোকবনে মাতা সীতার সংশয় দূর করার জন্য ঢাঁর এক বিশাল পর্বতপ্রমাণ তেজঃপূর্ণ দেহ মাতাকে দেখান। (অতি বলশালী রাক্ষসদের শৌর্য ও দক্ষতা মাতা সীতার মনে এই সন্দেহ জাগিয়েছিল যে, প্রভু শ্রীরাম এই ক্ষুদ্র বানরদের নিয়ে কি করে যুদ্ধে জয়লাভ করবেন ?)
তাঁর বিশাল ও তেজঃপূর্ণ রুদ্রমূর্তি এবং সাথে অমিত পরাক্রম ও শৌর্য রাক্ষসরা প্রত্যক্ষ করেছিল রাম-রাবণের যুদ্ধক্ষেত্রে লঙ্কার রণভূমিতে। বিরাট এবং তেজস্বী সূর্যকে যে খাবারের ফল ভাবতে পারে এবং তাকে গ্রাস করার ক্ষমতা রাখে, তার তেজ যে কতটা হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।
অখণ্ড ব্রহ্মচচর্যের আনন্দ অনুভূতি মন, ইন্দ্রিয় ও বুদ্ধির অতীত। এর তুলনা কোনো বিষয়সুখের সঙ্গে করা সস্তব নয়। এই শাশ্বত সুখ এতই স্বতঃস্ফৃর্ত যে এর সন্ধান কোনো বাইরের ব্যক্তি বা মাধ্যম দিতে ব্যর্থ। তীনোঁ লোক হাঁক ঢেঁ কাঁপৈ গোস্বামীজী মানবসমাজকে শ্রীহনুমানজীর তেজঃপূর্ণ স্বরূপের পরিচয় দিয়ে এই কথা বোঝাতে চেয়েছেন যে, যে তিন তত্ত্ব আমাদের ভিতর সবসময় উপস্থিত থাকে যথা সৎকর্ম করার ইচ্ছা, শরণাগতি ও বিষয়াসক্ত দুষ্টমন।
শ্রীহনুমানজীর হুস্কার সেই দুষ্টমনের জন্য ভয়ানক, সৎকর্ম করার ইচ্ছুক ব্যক্তির জন্য প্রেরণা এবং শরণাগতের জন্য অভয়প্রদের কাজ করে। তিন লোকেই ব্যপু শ্রীহনুমানজীর শরণাগতরা কাম, ক্রোধ, লোভ ইত্যাদি আসুরিকভাব থেকে মুক্ত থাকে। কারণ তাঁর তেজঃদীপু উপস্থিতি ও হঙ্কার এইসব বিকারকে ভয়ে কাঁপিয়ে দেয়। তিনি সাধকের অপরাধরোধ, ইীনভাবনা ইত্যাদির মূলেও কুঠারাঘাত করেন তাঁর বিশুদ্ধ প্রেম ও সাত্ত্বিক শক্তির দ্বারা।|