Hanuman festivals feature grand recitations of the Shree Hanuman Chalisa in temples.
Hanuman Chalisa Chaupai 25 in Bengali with Meaning & Analysis
নাশৈ রোগ হরৈ সব পীরা।
জপত निরন্তর হনুমত বীরা।
সারানুবাদঃ বীর হনুমানের নাম সবসময় জপ করলে অসুখ দূর হয় এবং সমস্ত যস্ত্রণা দূর হয়।
ব্যাখ্যা : ত্রিতাপ জ্বালার আধিভৌতিক এই সব কায়িক ও মানসিক অসুখ, যন্ত্রণা, সঙ্কটময় জীবনে আমাদের সবাইকে কম-বেশি ভোগ করতে হয়। মানুমের অতীতের করা অনুশাসনইীন ও লাগামছাড়া ইক্দিয় লালসার পরিতৃপ্তির বিরামহীন জীবনযাত্রারই পরিণাম এই সব অসুখ, যন্ত্রণা যা সময় সময় অসহনীয়ও হয়। প্রকৃতপক্ষে আমাদেরই করা কর্মফল ভাল বা মন্দ ভোগের জন্যই গ্রহনস্মন্রসমূহ অনুকূল বা প্রতিকূল অবস্থায় অবস্থান করে। শনিদেবের সাড়ে সাত দশা বা শনির দোষ আমাদের সবসময় ভয়যুক্ত করে।
আমরা সবাই এসবের থেকে মুক্তি চাই। আমি আগেই বলেছি যে, হনুমান চালীসার অনুষ্ঠান করলে, নিয়মিত তাঁর স্মরণ নিলে, এই সব অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা যায়। প্রথমে শ্রীগোস্বামী তুলসীদাসজীর নিজেরই উল্লেখ করা এক ঘটনা যা তাঁর নিজের জীবনে ঘটেছিল তা জানাই।
গোস্বামীজী সর্বদাই শ্রীহনুমানজীর স্মরণে থাকতেন। একবার, কোনো এক সময়ে গোস্বামীজী বায়ুরোগে আক্রান্ত হন এবং তাঁর দুই হাতেই অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়। অনেক বৈদ্য ও ডাক্তারের সাহায্য নিলেও সেই যন্ত্রণা কমার বদলে আরও বাড়তে থাকে। ব্যথা অসহ্য হওয়ায় গোস্বামীজী অত্যন্ত আর্তির সাথে শ্রীহনুমানজীর স্তুতি ‘হনুমান বাহুক’ পাঠ করেন যা তাঁরই রচিত এবং তাঁর কাছে এই যন্ত্রণা উপশমের জন্য কাতর প্রার্থনা করেন। বায়ুপুত্র শ্রীহনুমানজীর কৃপায় তাঁর সেই যন্ত্রণা ধীরে ধীরে কনে যায় এবং তিনি সম্পূর্ণরূপে বেদনা মুক্ত रन।
মরের আর্তি বিনতি সহকারে জানিয়ে শ্রীহনুমানজীর প্রিয় লাড্ডু নিবেদন করে এর পাঠ করতে হবব ঘি-যুক্ত প্রদীপ জ্বালিয়ে। এই লেখকের জীবনে ঘটা একটি ঘটনা ছোট করে উল্লেখ না করে পারছি না। ঘটনার সময় ১৯৯৮ সালের মাঝামাঝি। ১৯৯৫ সালে করুর কাছে
দীম্নার পর তাঁরই আদেশ মতো জপ, ধ্যান ইত্যাদি চলছিল। ঐীমহাবীরের নামও निয়শিত নেওয়া হত। যাই হোক, হঠাৎ করে মাফে মধেযেই জ্রর হওয়া শুরু হলো এবং তা চলেও যেতো। একদিন হ্রচঙ জ্বর ৫ যন্ত্রণা অসश्य হয়ে ওঠায় শ্রীমহাবীরের নাম সারারাত ধরে নিয়েছিলাম এবং তাও বিছানায় শুয়ে শয়ে। পরদিন সেই ক্রনিক জ্রর সারলো, তারপর বহুদিন কোলো জূর হয়নি। আগেই বলেছি যে, বায়ুপুত্র হবার কারণে ঢাঁর তিন লোকে অবাষ গতি এবং তাঁর স্মরণকারীর কাছে তিনি মুহৃর্তেই পোঁছে যেতে পারেন।
শ্রীহনুমান চালীসার পাঠ ও শ্রীহনুমানজীর স্মরণ যে মানুভের সঙ্কট তাৎক্ষণিকভাবে কাটিয়ে দেয় তার চাক্ষুষ প্রমাণ অনেক আছে। শুধু তাই নয়, ঢাঁর প্রতি অবিশ্বাস নিয়েও সঙ্কটের গভীরতার কথা মাথায় রেখে তাঁর স্মরণ সাক্ষ্ণৎ মৃত্যুমুখ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে, সেই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আমার পরিবারের মধ্যেই আছেন। শ্রীহনুমানজীর পূজার বিশেষ মাহাত্য আছে মঙ্গলবার ও শনিবার। মঙ্গলবার তাঁর জন্মদিন এবং শনিবার তাঁর বিজয়দিন। শনিবার শ্রীহনুমানজী শনিদেবের উপর জয় প্রাপু হয়েছিলেন।
শ্রীহনুমানজীর শনিদেবের উপর প্রভাবের কাহিনী আমরা বিভিন্ন গ্রন্থসাহিত্যে পেয়ে থাকি। এইরকম দুটি প্রসঙ্গ এখানে সংক্ষেপে উল্লেখ করছি। (এক) লঙ্কেশ রাবণ তাঁর অমিত বিক্রম ও প্রভারে ত্রিভুবন জয় করেছিলেন। সব দেবতাদের তিনি আটক করে তাঁদের নানাভাবে অপদস্থ করতেন।
তিনি শনিদেবকে ঢাঁর নিজের বাসভবনের এক স্তুস্তের নিচে আটকে রেখেখিছেলেন। শ্রীহনুমানজী एর লঙ্কা দহন কালে যখন সমস্ত লঙ্কাপুরী তোলপাড় করছিলেন, তখন হঠাৎ এক জায়গায় তিনি স্তু্ভের ভিতর থেকে আওয়াজ শুনতে পান। এক অদ্ভুত বেদনা ও আর্তিভরা আওয়াজ ডাঁকে স্তন্তের বিনাশে বাধ্য করে এবং তখনই ঢাঁর শনিদেবের সঙ্গে দেখা হয়। শনিদেব ख্রীহনুমানজীকে ঢাঁকে উদ্ধারের জন্য প্রার্থনা করেন এবং শনিদেবকে তিনি স্তের নিচের থেকে উদ্ধার করেন।
শনিদেব কৃত্ভতা জানানো তো দূরের কথা, বরং শীরীহনুমানজীকে বললেন, “এবার আমি আপনার মাথার উপর বসবো।” এ্রীহনুমানজী অবাক হয়ে জিজ্ভস করলেন, “এটা কৃতজ্ঞতা জানানোর কোন পদ্ধতি ?” শনিদেব তাঁর কथায় অনড় হলে শীহনুমানজী ঢাঁর কাছে জানতে চান যে তিনি কতদিন তাঁর মাথার উপর বসরেন। শনিদেব উত্তরে বলরেন, “দিন নয়, আমি সাড়ে
সাত বছর পর্যন্ত থাকবো।” শ্রীহনুমানজী তাঁর স্বভাবসিদ্ধ মুচকি হাসিতে উত্তর দিয়ে বললেন, “ঠিক আছে।” বল ও বুদ্ধির নিধান শ্রীহনুমান কিছু দূর গিয়ে এক মস্ত বড় পাহাড় (বিশাল পাথরের চাঁও হতে পারে) নিজের মাথার উপর রাখলেন এবং আবার চলতে লাগলেন।
আবার কিছুদূর গিয়ে ফের একটা পাহাড় তাঁর মাথায় নিলেন। শনিদেবের উপর এই বিশাল চাপ তাঁকে কাতর করে তুলল এবং শনিদেব জানতে চাইলেন, “এটা কি হল ?” শ্রীহনুমানজী অত্যন্ত বিনীতভাবে বললেন, “আমার মাথা, আমি যা খুশি রাখতে পারি।” শনিদেব বললেন, “তা ঠিক, কিন্তু রাখার আগে আমার কথাটা কি একবার ভাবার দরকার ছিল না?” শীরুনুমানজী চলতে চলতে বললেন, “আপনি কি আমার কথা ভেবেছিলেন ?” যন্ত্রণা ক্রমশ অসহ্য ২ওয়ায় শনিদেব বলরেন, “মহারাজ! দয়া করে আমায় ছেড়ে দিন।”
রীহনুমানজী বললেন, “‘মি এক শর্তে আপনাকে ছাড়তে পারি। কথা দিন শনিবার দিন যে আমার দর্শন করবে আপনি তাকে একদম যন্ত্রণা দেবেন না বা বিপদে ফেলবেন না।” শনিদেব বললেন, “আমি কথা দিচ্ছি এরকমই হবে।”
এরকম মান্যতা আছে যে, শনিবার দিন শ্রীহনুমানজীর কেবল মাত্র দর্শন মানুষকে শনিদেবের প্রকোপ থেকে বাঁচিয়ে দেয়। তার উপর তাঁর অর্চন, বন্দন ও চালীসা পাঠ করলে ঢো কথাই নেই। (দুই) শ্রীহনুমানজী প্রায়ই ঢাঁর প্রিয় রামসেতু দর্শন ও পরিক্রমা করতেন এবং সমুদ্রের তটে প্রভু শ্রীরামের ধ্যানে মগ্ন হয়ে বসে থাকতেন। এই ঘটনা প্রভু শ্রীরাম ও ঢাঁর পরিকরদের অপ্রকট হওয়ার অনেক পরের ঘটনা।
এইরকমই একদিন সমুদ্রতটে বিকেলবেলায় শ্রীহনুমানজী ধ্যানমগ্ন অবস্থায় যখন অবস্থান করছেন, ঠিক তখনই শনিদেব ঘুরতে ঘুরতে সেই সমুদ্রতটে উপস্থিত হয়েছেন। নিজ্রের শক্তি ও পরাক্রন তাঁকে সবসময় শক্তি দেখানোর জন্য প্ররোচনা দিত।
শনিদেবের দৃষ্টি হঠাৎ শ্রীহনুমানজীর উপর পড়লে শনিদেব তাঁকে বললেন, “‘হে বানর, আমি তোমার সঙ্গে লড়তে চাই। তৈরি হয়ে যাও…” শ্রীহনুমানজী তাকিয়ে দেখেন অত্যন্ত কালো, কদর্য চেহারার এক পুরুষ। এীইনুমানজ্যী অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে তাকে বললেন, “আপনি কে? এখানে কি কারণে আসা হলো?” শনিদেব বললেন, “আমি পরম তেজ্তস্বী সূর্যদেবের মহাপরাক্রমী পুত্র শনি। আমার নাম শুনলেই লোকে ভয়ে
থর থর করে কাঁপতে থাকে। তোমার বল আর পৌরুষের কথা আমি অনেক শনেছি এবং তই তোমার পরীক্ষা নিতে চাই। সাবধান হয়ে যাও, আমি তোমার রাশিতে প্রবেশ, করতে যাচ্ছি।” এীহনুমানজী আবারও অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে বললেন, “হে শনিদেব, আমার বয়স হয়ে গিয়েছে আর তাছাড়া আমি এখানে আমার পরম আরাধ্য ইষ্টদেব প্রভু শ্রীরামের ধ্যান করতে বসেছি।
আপনি বরং অন্য কোথাও চলে যান এবং আমার এই ধ্যানে বিঘু ঘটাবেন না।” একথা শুনে শনিদেব অত্যন্ত অহংকারের সঙ্গে বললেন, “আমি একবার কারোর সঙ্গে যুদ্ধ করার সঙ্কল্প করলে, তাকে পরাজিত না করে সেখান থেকে সরে যাই না।”
শ্রীহনুমানজী তাঁকে আবার অনুরোধ করলেন এই যুদ্ধ থেকে বিরত থাকার জন্য, কিস্তু শনিদেব তাঁর কথায় কোলো উত্তরই দিলেন না। তখন শ্রীইনুমানজী বললেন, “ঠিক আছে, আপনার যখন এই রকম ইচ্ছা তখন তাইই হোক।” এই বলে শ্রীহনুমানজী প্রভুকে স্মরণ করে মুহূর্তের মধ্যে তাঁর লেজ দিয়ে শনিদেব কিছু বোঝার আগেই তাঁকে আধ্টেপৃষ্টে বেঁধে ফেললেন।
শুধু মাথা এবং শরীরের উপরের কিছু অংশ বাদ দিয়ে। শনিদেব অনেক চেষ্টা করেও নিজেকে মুক্ত করতে পারলেন না। শীহনুমানজী এবার শনিদেবকে বললেন, “চলুন শনিদেব, এবার রামসেতুর পরিক্রমা করা যাক আর অপার আনন্দ আপনিও উপভোগ করুন।” এই কथ বলে শ্রীহনুমানজী সেই রামসেতুর এক প্রাস্ত থেকে আর এক প্রান্ত কখনও লাফিয়ে, কখনও দৌড়ে আবার কখনও লাফিয়ে অনেক উচু থেকে নিচে নামলেন এবং প্রতিবারই তাঁর লেজ সেতুর কঠিন শিলায় আছাড় খেতে লাগলো।
লেজের মধ্যে বাঁধা পড়া শনিদেবের অবস্থা তখন দেখার মতো। দেহের হাড়গোড় প্রায় ভাঙ্গার অবস্থায় এবং দেহের বিভিন্ন জায়গা দিয়ে রক্ত ঝরে পড়ছে। যন্ত্রণায় শনিদেব এত কাতর হয়ে পড়লেন যে, তিনি অত্যন্ত করুণ স্বরে শ্রীহনুমানজীকে বললেন, “হে করুণাময় ভক্তরাজ! কৃপা করুন। আপনার শক্তির সঠিক আক্দাজ আমার ছিল না। এবার আমায় মুক্ত করুন।”
করুণামূর্তি শ্রীহনুমনজী দাঁড়িয়ে পড়লেন। রক্তাক্ত শনিদেবের অবস্থা ঁাঁক বিচলিত করলো। শ্রীহনুমানজী শনিদেবকে বললেন, “‘পনাকে আমি মুক্ত করতে পারি, কিন্তু আমার এক শর্ত আছে।” শনিদেব কাতরস্বরে বললেন যে, তিনি সব শর্ত মানতে রাজী আছেল। তখন
সাত বছর তুমি আমার ভভ্দের কোলো রকম যন্ত্রণা বা কষ্ট দেবে না।” শনিদেব কথা দিলেন, “হে ভগবন!! আমি আপনার ভঙ্দের কখনও কোনো কষ্ট দেব না।” এই ঘটনার পর শনিদেব আর কখনও শ্রীহনুমানজীর মুতোমুখি रननि।