The Hanuman Chalisa resonates with people seeking spiritual solace and strength.
Hanuman Chalisa Chaupai 28 in Bengali with Meaning & Analysis
চারোঁ যুগ পরতাপ তুম্হারা।
হৈ পরসিদ্ধ জগত উজিয়ারা।
সারানুবাদ : সমস্ত জগতেই এ কথা প্রসিদ্ধ আছে এে চার যুগেই আপনার প্রতাপ সমুজ্ট্রলভাবে বর্তমান।
ব্যাখ্যা : আমাদের অজানা নয় যে শ্রীহনুমানজী ‘অমর’। সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলি চার যুগেই ঢাঁর অবাধ উপস্থিতি থাকে কোনো না কোনো रপে।
- সত্য যুগে : তিনি ঢাঁর মূল স্বরূপ অর্থাৎ ভগবান শঙ্কর।
- ত্রেতা যুগে : প্রভু শ্রীরাদের ভক্তশ্রেষ্ঠ ও দূতরূপে পরিচিত।
(৩) দ্বাপর যুগে : তৃতীয় পাঙ্বব অর্জুনের রথের ধ্বজাতে তিনি অবস্থিত যার জন্য ঢাঁর রথের আর এক নাম ‘কপিষ্বজ’। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কুরু-পাণ্ডবের যুদ্ধ শেফে অর্জুনকে দ্রহত রথ থেকে নামতে বললেন এবং শ্রীহনুমানজীকে আহূান করলেন ধ্বজা থেকে নেতে আসতে।
মুহূর্তে সেই রথ আগুনে পুড়ে ছইই হয়ে গেল। অর্জুন এই সব দেখে অবাক হয়ে ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে এর কারণ জিজ্ঞাসা করায়, শ্রীকৃষ্ণ বললেন, “‘মহাবীর কর্ণ ও পিতামহ ভীপ্মের বাণের তীব্রতাকে শীরনুমানজী এতদিন নিজের মধ্যে ধারণ করে রেখেছিলেন যে কারণে এই রথ অক্ষত ছিল। এঁদের বাণের এত জোর ছিল যে রথ একশো হাত পেছনে চলে যেতো কিল্তু শীহনুমানজীর কারণে তা হয়নি।”
(8) কলি যুগে : যেখানে প্রভু শ্রীরামের কথা হবে, তাঁর স্মরণ-মনন-ভজনকীর্তন হবে সেখানেই শ্রীহনুমানজী অবশ্যই উপস্থিত হবেন।
যত্র তত্র রঘুনাথকীর্তনং তত্র তত্র কৃতমস্তবাঞ্জলিম্।
বাষ্পবারিপরিপূর্ণলোচনং মরুতিং নমত রাক্ষসাস্তকম্।। (ब्ररनूমৎ-ग्णবन)
অর্থাৎ যেখানে যেখানে শ্রীরঘুনাথের (নাম, রূপ, গুণ, লীলা আদি) কীর্তন করা হয়, সেই সেই জায়গায় করজোড়ে নতমস্তক হয়ে, অশ্রুপূর্ণ নয়নে যিনি সদা উপস্থিত থাকেন সেই রাক্সববংশের অস্তকারী পবননন্দনের উদ্লেশ্যে সকলেই প্রণাম নিবেদেন করুন।
শ্রীহনুমানজী বায়ুপুত্র হওয়ায় তিনি সর্বব্যাপী। পধ্চভূতের মধ্যে আর যারা আছেন যথা ভূমি, সমুদ্র (জল), আকাশ এবং অগ্নি এঁদের একটা সীমা আছে যার মধ্যে এঁদের থাকতে হয়, কিন্তু বায়ুর কোনো সীমা নেই। তাই তার গতি অবাধ এবং প্রচণ্ড বেগশালী। তাই শ্রীহনুমানজী স্বতন্ট ও সীমাহীন। তাঁর উপস্থিতি তাই যে কোনো সময় যে কোনো জায়গায়, যে কোনো রূপে হতে পারে।
সবটাই তাঁর ইচ্ছাধীন। গোস্বামীজীকে তিনি প্রথম দর্শন দেন এক অতিবৃদ্ধ হিসাবে, দ্বিতীয় পাতুব ভীমকে তিনি দর্শন দেন এক পিঙ্গল চেহারার বৃদ্ধ বানর হিসাবে। অনেক ভগবৎদর্শী শ্রীহনুমানজীর পাবন সান্নিধ্য উপল্ধি করেছেন শীরারের লীলাকথায় বা ভজনে আবিষ্ট অবস্থায়। এই লেখকের একবার সেই সৌভাগ্য হয়েছিলো।