Shri Hanuman Chalisa is composed of 40 verses that extol the virtues of Lord Hanuman.
Hanuman Chalisa Chaupai 32 in Bengali with Meaning & Analysis
রাম রসায়ন তুমহরে পাসা।
সদা রহো রঘুপতি কে দাসা।
সারানুবাদঃ আপনার কাছে রাম রসায়ন বিদ্যমান। আপনি সর্বদা রঘুপতির দাস হয়ে আছেন।
ব্যাখ্যা : রাম রসায়ন তুমহরে পাসা
এই চৌপাঈতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে ‘রাম রসায়ন’-এর অধিকারী শ্রীহনুমানজী। এখন এই ‘রাম রসায়ন’ বলতে কি বোঝানো হচ্ছে? শাস্ত্রকার ও প্রখ্যাত রামভক্তরা এর অনেক রকম অর্থ করেছেন।
যেমন এর অর্থ হলো- অধ্যাত্ম-বুদ্ধি। অর্থাৎ নিজের স্ব-স্বরূপের বিষয়ে অবগত হয়ে, সেই উপলব্ধির উপর দাঁড়িয়ে পরমতত্ত্তের সঙ্গে তার একাত্মের চেষ্টারূপ বুদ্ধিকে বলে ‘রাম রসায়ন’। শ্রীশ্রীরামচরিতমানসে উল্লেখ আছে
যে, প্রভু শীরীহের এই প্রশ্ন যে, কে আপনি ? এর উত্তরে শ্রীহনুমানজী বললেন যে “দেহের দৃষ্টিতে আমি আপনার দাস, জীবের দৃষ্টিতে আপনার অংশ ও পরমার্থিক দৃষ্টিতে যা আপনি তা আমিও-এই আমার নিশ্চিত ধারণা।” ভক্তিমার্গের দিক দিয়ে বিচার করলে ‘রাম রসায়ন’ হলো প্রেম-ভক্তি যা ‘পূর্ণ শরণাগতি’ ছাড়া কখনই সষ্তব নয়।
তুলসীদাসজী রামনামে লীন অবস্থায় তাঁর উপলক্ধির কथा বলতে গিয়ে গেয়ে উঠলেন, “হাম্ তো রমতে রাম ভরোসে, রজা করে সো হোঈ’-অর্থাৎ আমার কাজ হলো রাম ভরোসে (প্রভুর ভরসায়) নাম করা, বাকি তিনি যা করার করবেন। প্রেমভক্তির পরাকাষ্ঠা সাধিকা মীরাবাঈ গেয়ে উঠলেন এই বলে যে, গিরিধর গোপাল ছাড়া আমার দ্বিতীয় কেউ নেই। আমি তাঁর কীর্তন করি, বাকি “শো হোয়ে সো হোঈ” (যা হবার তা (ক)।
‘রসায়ন’-এর ইংরাজী হল ‘chemistry’ ‘রাম রসায়ন’ মানে রামের কেমিস্ট্রি। ‘রাম’ হলো তারকব্রহ্ম নাম। শাস্ত্রকাররা বলেন ‘রাম’ নামের তপস্যায় মধ্যে কি এমন গূঢ়-রহস্য আছে, তা জানার আগ্রহ অনন্তকাল ধরে বিরাজ করহে।
শ্রীশ্রীরামচরিতমানসের ‘সুন্দরকাণ্ড’-এ উল্লেখ আছে যে, বিভীষণ তো প্রভু রামের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তাঁর মুখ থেকে শুনেই ফেললেন তাঁর স্বভাবের কথা। প্রভু শ্রীরাম বললেন, “শুনহ সখা নিজে কহউ সুভাউ। জান ভুসুণ্ডি সম্ভু গিরিজাউ।।” শ্রীরাম আরও বললেন, “বিশ্ব চরাচরের কল্যাণদ্রোহীও যদি মদ্, পোহ, ছল, চাতুরী পরিহার করে ভয় পেয়ে আমার শরণাগত হয়, তাকেও আমি অনতিবিলম্বে সাধুর স্তরে উন্নীত করে দিই।। আমার প্রীতির লক্ষণ সকল বলছি।
জনক, জননী, ভ্রাতা, পুত্র, ভার্যা, দেহ, সম্পদ, গৃহ, বন্ধু-পরিবার সকলের মমতার বন্ধনসূত্র সকলকে রজ্জুরূপে ব্যবহার করেও যে তার মনকে আমার সঙ্গে নিত্যयুক্ত করে দেয় (অর্থাৎ আমাকেই সমস্ত সাংসারিক বন্ধনের মূলরূপে স্বীকৃতি দেয়), যে সমদর্শী, যার নিজস্ব ইচ্ছা বলে কিছু নেইই আর যে হর্ষ-বিযাদে, চায় কাতর হয় না, তেমন ব্যক্তিই আমার হৃদয়ে স্থান পায়।”
আর এক মত হল সংসারের সমনু বিষয়ক্ত প্রভাব সমাপু হরতে পারে পর দেবী সীতা শীইনুমানজীকে দিব্য রতূময় হার উপহার দিলেন। এই হার পরার পর শ্রীহনুমানজীর স্বর্ণময় চেহারা আরো উজ্ট্রল ৫ শোভনীয় হলো, জিত্জে করলেন, “প্রিয় হনুমান! আপনার কি আমার চেয়ে আমার নাম নিক্চিত মত। আপনি স্বয়ং তো কেবল অযোধ্যাবাসীদের উদ্ধার করেছেন। কিস্তু আপনার নাম ত্রিভুবনের সমস্ত জীবের উদ্ধারকারী।”
‘রাম রসায়ন তুমহরে পাসা’-এর আর এক অর্থ এরকমও হতে পারে যে ‘রসায়ন রাম তুমহরে পাসা’। রসায়ন অর্থাৎ রস + অয়ন = রসায়ন ; রসের মার্গ ब্রীরাম আপনার কাছে থাকেন। আপনি সর্বদা তাঁর দাস হয়ে সেই রসায়নে ডুঁবে আছেন আর প্রভু আপনাতে মগ্ন হয়ে আছেন।
সদা রহো রঘুপতি কে দাসা
ভভগবান শ্রীকৃষ্ণ চাঁর নরলীলা সাঙ্গ করার ঠিক আগে উদ্ধবকে তাঁর বিভূতির বিষয়ে বলতে গিয়ে বলনেেন, ‘কিম্ পুরুষানাং হনুমান্।’ (ख্রীমম্ভাগবত)। অর্থাৎ সেবকের মব্যে হনুমান (আমার বিভূতি স্বরূপ)।
বাল্মীকি রামায়ণের উত্তরকাতে এক প্রসঙ্গ আছে যেখানে প্রভু শীরাম बরীহনুমানজীকে তাঁর কাছ থেকে কিছু প্রার্থনা করতে বললেন। ख্রীহনুমানজী তার উত্তরে বললেন, “প্রভু, আমার কোনো ইচ্ছাই নেই।” প্রভু শ্রীরাম যথন বললেন যে, আপনাকে আপনার পছন্দমতো কিছু দিতে পেরেছি এই সুখ যাতে আমার হয়, তার জন্য তে কিছু অস্তত: প্রার্থনা করুন, তখন এীননমানজী या প্রার্থনা করলেন, তা একমাত্র তিলিই করতে পারেন।
শ্রীহনুমানজী বললেন, “হহ রাজন, ঐীরাম, আমার পরম স্নেহ সদা আপনাতেই বিদ্যমান। হে বীর, আমার অবিচল ভক্তি আপনাতেই সর্মি্পিত। আপনাকে ছেড়ে অন্য কেলো এীহনুমানজীর মনের অস্তরতম ইচ্ছইই হলো প্রভু শ্রীরামের অন্তরঙ্গ সেবক হয়ে তাঁকে প্রসন করা। প্রভুর দাস হয়ে থাকার মট্যেই এ্রীহনুমানজী গৌরব বোষ করেন।