People often chant the Hanuman Chalisa Lyrics in English to seek strength, courage, and protection.
Hanuman Chalisa Chaupai 33 in Bengali with Meaning & Analysis
তুমহরে ভজন রাম কো পাবৈ।
জনম জনম কে দুখ বিসরাবৈ।।
সারানুবাদ : আপনার ভজন করলে তা প্রকৃত্ক্ষে শ্রীরামের উদ্দেশোই নিবেদিত হয় এবং শ্রীরামের প্রীতি সম্পাদন করে। (শ্রীরামকে পাইয়ে দেয়)। জন্ম-জন্ম ধরে সঞ্চিত দুঃখরাশিকে তা ভুলিয়ে দেয় (অর্থাৎ দুঃখ নির্মূল হয়ে যায়)।
ব্যাখ্যা : গোস্বামীজী এই টৌপাঈতে আবার দৃঢ়তার সঙ্গে শ্রীহনুমানজীর ভক্তদের আশ্বস্ত করেছেন যে, তাদের শ্রীহনুমান ভজন প্রকৃতপক্ষে শ্রীরামের প্রসন্নতার অধিকারী বানাচ্ছে। শুধু তাই নয়, এই দুইয়ের সংযোগে জন্ম-জন্মাস্তরের দুঃখও নাশপ্রাপু হচ্ছে।
শ্রীহনুমানজী সনাতন, চিরঞ্জীবী এবং পরাৎপর। বিভিন্ন শাস্ত্রে এরকম উল্লেখ আছে যে শ্রীহুমানজী হেমকূট পর্বতের দক্ষিনে ‘কিমপুরুষবর্য’-এ অবস্থান করেন এবং সেখানে প্রভু শ্রীরাম ও মাতা সীতার বিগ্রহের নিত্যসেবা করেন এবং গন্ধর্ধলোকের নিবাসীদের সাথে রামকথা শ্রবণ ও কীর্তনের আনন্দ প্রতিনিয়ত নেন। শ্রীহনুমানজীর দর্শন ও অপূর্ব রামকথা শোনার লোভে শ্রীনারদ ওখানে প্রায়ই যান।
‘গর্গসংহিতা’য় এ বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ আছে। বলা হয়েছে যে, শ্রীহনুমানজীর ভজন প্রভু শ্রীরামের কৃপালাভের পথকে শধু সুগমই করে না, তা জন্ম-জন্মান্তরের দুঃখরাশিকেও নির্মূল করে। প্রশ্ন উঠতে পারে জন্ম-জন্মাস্তরের দুঃখরাশিকে ভজন কিভাবে নির্মূল করবে কারণ সঞ্চিত কর্মের রাশিই তো প্রারধ্ধ হয়ে সুখ-দুঃখ ভোগ করায় ?
প্রকৃতপক্ষক ‘কর্মাধীন জগৎ’ এই তত্তৃকে বা এই সিদ্ধান্তকে কখনই খণ্ডন করে না। আধ্যাত্ছিক দৃষ্টিতে, সমস্ত দুঃখের মূলই হলো অহংকার। ख্রীহনুমান ভক্তি বা ইষ্ট-ভক্তির চরমাবস্থায় অহংকার বিগলিত হয়ে গেলে, তার সাথে সাথে সমস্ত দুঃখও নিরাধার হয়ে যায়।
শ্রীমন্ মহাপ্রভু বলেছিলেন, “আমি, আমার, এইরকম আত্মাভিমানই সংসারভয় বা মায়াবদ্ধতা।” জীব প্রাক্তন কর্মফলের অধীন, তাই তার ভোগের স্বাধীনতা নেই। চিত্তশুদ্ধিতে জ্ঞানের পূর্ণ বিকাশ হলে মায়ার আবরণ মুক্ত হয় অর্থাৎ আমি, আমার এই আআ্মাভিনান বা মায়াবদ্ধতার নিবৃত্তি হয়।
অনস্তনল স্থায়ী অত্যন্ত বিরল অবস্থায় হয়। बরীহনুমানজীর ক্রেত্র তা চিরস্থায়ী। তাই শ্রীহনুমনজীর ভজন, কীর্ডন সহজেই ভক্তকে রাম-অনুরাগী বরে ভবং প্রভুর অইহতুফী কৃপা সহজেই নেমে আসে।