Hanuman Jayanti is a significant occasion for the mass recitation of the Hanuman Chalisa Meaning.
Hanuman Chalisa Chaupai 35 in Bengali with Meaning & Analysis
ঔর দেবতা চিত্ত ন ধরঈ।
হনুমত সেই সর্ব সুখ করঈ।
সারানুবাদ : অন্য দেবতা চিত্তে ধারণ না করে শ্রীহনমানজীর সেবা সকল সুখ প্রদান করবে।
ব্যাখ্যা : এই চৌপাঈটি থেকে প্রথম যে প্রশ্নটি আমাদের মনে জেগে ওঠঠ তা হলো শ্রীহনুমানজীর উপাসনা করলে কি অন্য দেব-দেবীর উপাসনা করা কঠিন হয়ে পড়বে বা অন্য দেবতারা কি মনে ঠঁঁই পাবেন না ?
বস্তুতপক্ষে শ্রীহনুমানজীর উপাসনা সাধকদের তাঁদের নিজের নিজের ইষ্টদেবের উপাসনাকে আরো গতি দেয় কারণ তাঁর ভক্তিতে প্রাপু জ্ঞান এবং গুণ সেই দেবতাদের উপাসনার ভিতকে আরো মজবুত করে। ঔর দেবতা চিত্ত ন ধরঈ উপাসনা দু-রকমের হয়-সকাম ও নিষ্কাম।
অধিকাংশ সাধন সকাম দিয়েই শুরু হয়। ভক্ত ধ্রুবর চরিত্রই তার প্রমাণ। সমস্যাটা হলো কখনো কখনো ভক্ত পরিণামের আশায় আকুল হয়ে ওঠে এবং সেই কারণে বিভিন্ন রাস্তায় (সাধনপথ, পন্থা ইত্যাদি) ঘোরাফেরা করে। ভক্তদের এই অধীরতাই তাঁদের প্রকৃত ভক্তির পথে বাধা হয় এবং প্রভুকৃপা থেকে তারা বঞ্ণিত হয়।
গোস্বামীজী এই চৌপাঈতে বলছেন যে, এই সব সবনম ভক্তের চিত্তবৃত্তি চঞ্চল হওয়ার কারণে নিজ নিজ ইষ্টধারণ বা ধ্যান বাধাপ্রাপু হয়। এই অবস্থায় হনুমানজীর স্মরণ নিলে, তিনি সেই সাধকের মরের চঞ্চলতাকে কম্মাতে সাহায্য করেন।
কারণ বায়ুপুত্র শ্রীহনুমান প্রাণের স্থিরতা এনে চিত্ত-নিরোধে সাহায্য করেন এবং সেই সাধক তখন বুঝতে পারে যে তার সেই সকাম সাধনা সফল না হওয়ার অর্থ হলো যে সেই কামনা পূরণের এখনও সময় আসেনি বা সেই কামনা পূরণ তার পক্ষু কল্যাণকারী নয়।
ইষ্টদেবের আরাধনা তাই নিষ্কামভাবে করতে ভক্তির আনন্দ এক আলাদা মাত্রা পায়। নিক্কামভাবে শুরু না করে কামনা দিয়ে শুরু করলেও, লক্ষ্য রাখতে হবে কামনার বেগ যেন মাথা চাড়া দিয়ে না ওঠে। একটা জিনিস মনে রাখলে ভাল হয় যে, নিষ্কাম সাধকের পার্থিব প্রয়োজনগুলি কিন্তু শীরনহুমানজীর নজর ভড়ায় না। তিনি লেঙুলি পূর্ণ তে করেনই এবং তার সাথে সাথথ তাকে তার ইটষ্টে বাডে পৌঁহতে মার্গদর্শনও করান।