Tulsidas, a renowned poet-saint, authored the Hanuman Chalisa with Meaning in the 16th century.
Hanuman Chalisa Chaupai 36 in Bengali with Meaning & Analysis
সঙ্কট কটে মিটে সব পীরা।
জো সুমিরৈ হনুমত বলবীরা।
সারানুবাদ : যিনি মহাবলবীর্য সমন্বিত শ্রীহুমানকে স্মরণ করেন, তাঁর সকল সঙ্কট দূর হয় এবং সর্ব রোগ নিরাময় হয়ে যায়।
ব্যাখ্যা : আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, শ্রীহনুমানজী তাঁর অসংখ্য ভক্তের সঙ্কট দূর করেছেন এবং সবসময়ই করছেন। সমস্ত রামায়ণে যেমন তাঁর সঙ্কট দূর করার অনেক প্রসঙ্গ আছে, তেমনই শ্রীহনুমানজীর স্মরণ ও কৃপায় সঙ্কট থেকে উদ্ধার প্রাপ্তির ঘটনার সাক্ষী হয়তো আপনারা অনেকেই, তার সংখ্যাও কিছু বম নয়। শ্রীহনুমানজীর প্রতি শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস অনেক বড় সঙ্কটকেও পাশ কাটিয়ে দেয়। আমার নিজের জানা ও দেখা ঘটনার সংখ্যাও কম নয় যা নিয়ে পরে লেখার ইচ্ছা রইল। আমরা দেখেনি রামায়ণের কিছু পरসঙ্গ :-
(১) সুগ্রীব : বড় ভাই বালীর দ্বারা তিনি বিতাড়িত হয়ে ঋষ্যমুক পর্বতে অবস্থান কালে শ্রীহনুমানজীর কৃপায় প্রভু শ্রীরাম ও লক্ষ্মেের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। বালী সুগ্রীবের স্ত্রীকে অবধি আটক করে রেখেছিলেন। শ্রীহনুমানজী প্রভু শ্রীরামের সঙ্গে ঢাঁর মিত্রতা স্থাপন করান এবং প্রভু তাঁর সব সঙ্কট দূর করেন। প্রভু প্রথমে বালীকে বধ করেন, সুগ্রীবকে কিষ্কিন্ধার সিংহাসরে বসান এবং পত্মী রুমাকেও বালীর কবল থেকে মুক্ত করেন।
(২) বিভীষণ : তাঁর অবস্থান অত্যন্ত তামসিক পরিবেশে হলেও, প্রভু শ্রীরামের প্রতি ভক্তি ও বিশ্বাস তাঁকে সর্বদই নীতিপূর্ণ এবং আধ্যাছ্মিফ ভীবন যাপন করতে সহায়তা করেছে। শ্রীহনুমানজীর সাথে তাঁর প্রথম সাক্ষাৎ ঢাঁকে সুনিশ্চিতভাবে প্রেরণা জুগিয়েছিল যে …. বিনু হরিকৃপা মিলহি নহি সন্তা…। (রা:চ:মা:)— বিভীষণ শ্রীহনুমানজীকে বলছেন যে, আমার এখন দৃঢ় বিশ্বাস ২য়েছে যে, প্রভু শ্রীরাহের কৃপা বিনা আপনার মতো সন্তের সাক্ষাৎ হতে না। শ্রীহনুমানজীর পরামর্থি তিনি রাবণকে বোঝাতে যান যে তিনি যেন