Hanuman Chalisa Chaupai 4 Meaning in Bengali

People often chant the Hanuman Chalisa in English to seek strength, courage, and protection.

Hanuman Chalisa Chaupai 4 in Bengali with Meaning & Analysis

কঞ্চন বরণ বিরাজ সুবেশা।
কানন কুগুল কুঞ্চিত কেশা।

সারানুবাদ : সোনার বর্ণ, আকর্ষক পোষাক দ্বারা শোভিত, কানে দুল এবং কোচকানো চুল।

ব্যাখ্যা : কষ্চন বরণ : শ্রীতুলসীদাসজী এই চৌপাঈতে শ্রীহনুমানজীর রূপ বর্ণনা করেছেন, বিশেষ করে তাঁর গাত্রবর্ণ, পোষাক-পরিচ্ছদ, অলংকার ইত্যাদি। শ্রীতুলসীদাসজীর হনুমান চালীসা অনুসারে শ্রীহনুমানজীর গায়ের রং সোনার মতো। মহামুনি বাল্মীকিও তাঁর গায়ের রং সোনার বর্ণের বলেছেন। ‘রঙ্গনাথ রামায়ণে’ও ঢাঁর রং সোনার বর্ণই বলা হয়েছে। উপনিষদেও যেখানে শ্রীহনুমানজীর উল্লেখ আছে সেখানে তাঁর গায়ের রং ‘কাধ্ডন বর্ণ’ বলা হয়েছে। মহাভারতের ‘বনপর্বে’

যেখানে দ্বিতীয় পাঞুব ভীমসেনের সঙ্গে শ্রীহনুমানজীর সাক্ষাৎ হয়, সেখানে শ্রীহনুমানজীর গায়ের রং পিঙ্গল বর্ণ বলা হয়েছে। শ্রীহনুমানজী যেহেতু চার যুগেই বিরাজমান তাই ভগবানের বিভিন্ন অবতারের রং যেমন ভিন্ন, সে রকম তাঁর রংও ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। শ্রীহনুমানজীর সোনার মতো রং তাঁর ব্রস্মচর্যের তেজের প্রতীক। সোনা যেমন পরিপূর্ণ শুদ্ধতার প্রতীক, শ্রীহনুমানজীর জীবনও তেমনি অতি পবিত্র।

বিরাজ সুবেশা : শ্রীহনুমানজী অতি সুন্দর বস্ত্র পরিধান করতেন। রামায়ণে তাঁর পীতাম্বর বস্ত্র পরিধানের কথা বলা হয়েছে। আবার জনকনন্দিনী সীতা বলেছেন, ‘বৃক্ষের আড়ালে প্রথম যে বাঁদরকে আমি দেখি তার পরিধানে ছিল সুন্দর শ্বেত বস্ত্র।’ আবার ‘সঙ্কটমোচন হনুমানষ্টক’-এ বলা আছে-

লাল দেহ লালী লসে, অরু ধরি লাল লঁগূর।
বজ্র দেহ দানব দলন, জয় জয় জয় কপি সুর।।

কেউ কেউ এই মত রাখেন যে, শ্রীহনুমানজী লাল রংয়ের কাপড় পরতেন। আবার প্রভু শ্রীরাম ও লক্ষ্মণের প্রথম সাক্ষাতের সময় শ্রীহনুমানজী ব্রাক্সাণের

বেশ ধারণ করেছিলেন যা প্রভু শ্রীরামের খুব ভালো লেগেছিলো। আসলে সৌন্দর্য কখনও ব্যক্তি বা তার পরিধানের বস্ত্রে বিচার হয় না। শ্রদ্ধা ও প্রেমপূর্ণ অন্তঃকরণ যার সেই ভক্তের কাছে শ্রীহনুমানজীর দর্শন সর্বদাই আকর্ষণীয় হয় তা তিনি যে বস্ত্রই পরুন না কেন।

কানন কুগ্ডল কুঞ্চিত কেশা : শ্রীহনুমানজীর কানে দুল আছে আর তাঁর চুল কোঁচকানো। তিনি সদা রামনামে মগ্ন, তাই এই কুঞুল সদা এই নাম শুনতে শুনতে নিজেদের ধন্য মনে করে আর আনন্দে দুলতে থাকে। এই কুণুল দেখতে গোলাকার, ঠিক অনেকটা কস্কণের মতো। ‘কম্ব রামায়ণ’ অনুযায়ী জনকনন্দিনী সীতার বোঁজে বানরসেনা যখন স্বয়ংপ্রভার গুহায় প্রবেশ করেছিল তখন শ্রীহনুমানজীর কুণ্ডলের ছটায় সমস্ত গুহা আলোকিত হয়েছিলো। শ্রীহনুমানজীর চুল ভারী সুন্দর ও কোঁচকানো।

শ্রীহনুমানজীর চেহারা অত্যত্ত মনমোহক। স্বয়ং শ্রীরাম যিনি ভুবন-সুন্দর তিনি শ্রীহনুমানজীর রূপের প্রশংসা করেছেন। ভগবান শ্রীরামের চুলও ছিল অতি সুন্দর ও কোঁচকানো। আধ্যাখ্মিক দৃষ্টিভঙ্গিতে চুল হলো বাসনার প্রতীক। কিন্তু কারোর চুল যদি কোঁচকানো হয় এবং স্বয়ং প্রভু তার রূপে মুগ্ধ হয়ে যান তখন সেই বাসনাই উপাসনা হয়ে যায়। তখন বাসনার সম্পূর্ণ রূপাস্তর হয়ে যায়। শ্রীহনুমানজীর উপর প্রভু শ্রীরাম সদাই মুগ্ধ। আর তাই যেখানে প্রভু শ্রীরাম সেখানেই শ্রীহনুমানজীর অবস্থানের কারণে শ্রীহনুমানজী সদা পূজনীয়, সদা সাধনার বস্তু।

Leave a Comment