The recitation of Shri Hanuman Chalisa is believed to ward off evil and negativity.
Hanuman Chalisa Chaupai 5 in Bengali with Meaning & Analysis
হাত বজ্র ঔ্ ধ্বজা বিরাজৈ।
কাঁধে মূঁজ জনেউ সাজৈ।।
সারানুবাদ : হাতে বজ্র এবং ধ্বজা বিরাজ করছে। কাঁধে পবিত্র ঘাসের যজ্ঞেপপীত সুশোভিত হয়ে আছে।
ব্যাখ্যা : শ্রীহনুমানজীর হাতে বভ্র আছে। তিনি রামনামে মগ্ন এবং যখন কোলো কাজে ব্যস্ত থাকেন তখন অন্তরময় রামনাম। শ্রীহনুমানজীর হাতের বজ্র সদা রামনামের প্রভাবে হরিনামের প্রতীক হয়ে গেছে। গোস্বামীজী বোধ হয় এ কথা বলতে চেয়েছেন যে হরিনাম কেবল মুখে রাখলেই হবে না, হরি কার্য সদা করার সঙ্কল্পও নিতে হবে। নামের তো মাহাত্য আছেই, কিস্তু হরির
কার্য, তার স্থান তো আরো উপরে। এ্রীহনুমানজীর সঙ্গে যখন শ্রীবিভীষণের দেখা তখন বিভীষণ বলে উঠলেন যে “বাবা, আমার এখন পাক্কা ভরসা হয়েছে যে আমার উপর প্রভু শ্রীরামের কৃপা হয়েছে কারণ আমি আপনাকে পেয়েছি। প্রভুর কৃপা না হলে তো সন্তদের দর্শন হয় না।”
একথা उনে শ্রীহনুমানজী বললেন, “আপনার উপর প্রভু কখনও কৃপা করবেন না একথা আমি বলতে পারি কারণ আমি প্রভুর কাছে সর্বদা থাকি আর জানি প্রভু কাদের কৃপা করেন।” একথা শুনে বিভীষণ বললেন, “বাবা, আমি সদা রাম রাম বলি, অঙ্গনে তুলসী মঞ্চ আছে। ছোট্ট একটা মন্দিরও আছে যেখানে রোজ প্রভুর পৃজা করি।
আমি বৈষ্ণব। প্রভু শ্রীরামের কথা আমার এই প্রাসাদের দেওয়ালে অক্কিত আছে। ভোরে ঘুম থেকে আমি উঠি প্রভুর নাম নিতে নিতে या কিन्ना আপनि ওনেছেন। তা সত্ত্বেও প্রভু আমায় কৃপা করবেন না ?” জানডে চাইলেন, ‘ব্যাপরটা কি ?” তখন শ্রীহনুমানজী বললেন,
“আপনি প্রড় শ্রীরারের নাম তো নেন কিল্তু তাঁর কাজ তো একেবারেই করেন না। আপনার ঘর দেখে বোঝা যায় যে এ পরম বৈষ্ণবের ঘর। এই প্রাসাদের দেওয়ালও প্রভুর নাম করে। কিষ্তু আপনি প্রভু শ্রীরামের কাজ তো করেন না।” লক্ষ্য করুন শ্রীহনুমানজী প্রভু শ্রীরামের কাজের ব্যাপারে জগতকে কিছু জানাতে চাইছেন বিভীষণের মাধ্যদে।
শ্রীহনুমানজী বলছেন, “আপনি আমায় জবাব দিন যে, যে শ্রীরামের নাম আপনি সদা জপ করেন, তাঁরই স্ত্রীকে আপনার ভাই রাবণ অপহরণ করে আনরেন, আর আপনি তারই দরবারে এক মস্ত্রী হয়ে কি করেছেন ? আপনার কি কর্তব্য ছিল না রাবণকে বলা যে তিনি যেন জনকন্দিনিনীকে প্রভু শ্রীরামের কাছে ফিরিয়ে দেন; কারণ রাবণ অত্যন্ত গर্থিত কাজ করেছে।
রামের নাম নেবেন অথচ রামের কাজ করবেন না তো প্রভুর কৃপা কিভাবে পাবেন ?” একথা শনে বিভীষণ সঙ্কল্প করলেন যে, এরপর প্রথম যে রাজসভা বসবে, তিনি সেখানে রাবণের সামনে এই কথা রাখবেন। রাবণকে বোঝাবেন। তখন তো প্রভু শ্রীরাম নিশ্চয়ই কৃপা করবেন। শ্রীহনুমানজী বললেন, “না, তাহলে তো প্রভু শ্রীরাম আর কখনও কৃপা করবেন না।” তনে বিভীযণ অবাক দৃষ্টিতে শ্রীইনুমানজীর দিকে তাকিয়ে থাকলেন। শ্রীইনুমানজী
তখন বলরেন, “আরে, যখন আপনি রামের কাজ করবেন তখন ত্রীরাম কৃপা করবেন না, উপরন্ত প্রভু আপনাকে প্রেম করবেন। আর কৃপার চেয়ে অনেক উচচু হল পপ্রম।” শ্রীহনুমানজী সমস্ত জগতকে জানালেন প্রভুর কাজ করার জন্য বद্র সমান হাত ও সঙ্কল থাকা চাই। হাতে রামের কাজ অর্থাৎ সত্যের সঙ্গ দেওয়া আর মুখে রাম নাম করা, তবেই প্রভুর প্রেম আসবে। হাতে বভ্রর আর এক অর্থ হয় যে শ্রীহনুমানজীর হাত বভ্র সমান দৃঢ় ও সত্যসঙ্কল्প বদ্ধ। আর সত্যের ধ্বজ্ঞ তো দুর্বল হাতে শোভা পাবে না, চাই বহ্ভ সমান হাত যার হাতে সত্যের ধ্বজা সদা সুরক্ষিত থাকবে।
শীহনুমানজীর হাতে যে ধ্বজার কथা বলা হয়েছে তা সত্যের, তা ধর্মনিষ্ঠার, আর তাই বিভীযণ যখন রাবণকে বলেন যে ‘রামই সত্য, রামই সত্যসংকল্প’, তখন বোঝা যায় যে এ্রীহনুমানজীর হাতে কেন ধ্বজা তাঁর সুরঙ্গা নিশ্চিত করে। ‘ধ্বজা’ হলো কীর্তির প্রতীক, এখন যেমন আমরা গাড়ির লাল লাইট বা নম্বর প্লেট দেখে যাত্রীর প্রতিষ্ঠার কৃथ জানতে পারি, আগেকার দিনে রাজা, সেনাপতি, প্রধান, বিভিন্ন মন্ত্রীগণ ইত্যাদির রথের ধ্বজা দেখে তাদের পরিচয় পাওয়া যেতো। শীরনুমানজীর হাতের ধ্বজা ওধু সত্যের জয় জয়কার সূচিত করে না, প্রভু শ্রীরামের কীর্তিকেও প্রতিষ্ঠা করে।
কাঁধে মূঁজ জনেউ সাজৈ : শ্রীহনুমানজী কাঁধে মূঁজ নামক ঘাসের যজ্ঞোপবীত ধারণ করে আছেন। পরম বৈরাগী যারা তারা আজও মূঁজ নামক ঘাসের যজ্ঞোপবীত ধারণ করেন। এখনও অযোধ্যা, চিত্রকূট ইত্যাদি জায়গায় অনেক মহাআকে পাবেন যাঁদের এই যজ্ঞোপীত পরতে দেখা যায়। শ্রীহনুমানজী যজ্ঞোপবীত পরেন অর্থাৎ তিনি দীক্ষিত। ঢাঁর যজ্ঞোপবীতে তিনটি ধাগা আছে। তিনি ব্রস্মাচারী হওয়ার কারণে তিন ধাগার যख্ঞেপবীত ধারণ করেন। তিনি পরম বৈরাগ্যের ঘনীভূত রূপ। যজ্ঞোপবী|তের তিনটি ধাগা জ্ঞনযোগ, কর্মযোগ এবং ভক্তিযোগের পরিচায়ক।
মানুষ কাঁবে লাঠি বা জলের কলসী নিয়ে চললে যেমন প্রয়োজনের সময় তার উপযোগ করতে পারে, তেমনি এই তিন ধাগায় যख্ঞোপবীত মানুষ যে যোগের সাধনা করে, সেই সেই যোগের সাধনার রাস্তার সহায়ক হয়। ভারতে এই যজ্জোপবীতের ভারী সংস্কার দেখা যায়।
কিট্তু বর্তমান সময় এই যত্ঞে|পবীত ধারণ খালি এক কর্মকালের উপাচার হিসেবেই রয়ে গেছে। প্রকৃতপক্ষে, এই যজ্ঞোপবীত মানুষকে সদা স্মারণ করতে সাহায্য করে তার শীল, তার মর্যাদা, তার সভ্যতা, তার বিচার-বুদ্ধির কুশলতা ইত্যাদি। যজ্ঞোপবীত যোগে অথবা ভোগে, সর্ব অবস্থায় ঈশ্বরের উপস্থিতির, তাঁর সর্বব্যাপকতার কথা মনে করায়।